আমের বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহার উপজেলা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আম পরিবহনকারী যানবাহন জীবাণু মুক্ত করতে এবং বাজারে যানজোট এড়াতে সাপাহার লোড পয়েন্ট অফিস নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
জানা গেছে, মৌসুম শুরু থেকে এ উপজেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে আম বেচা-কেনার জন্য আসতে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা ও বেপারীরা। এ উপজেলা সহ আসেপাশের কয়েকটি উপজেলায় উৎপাদিত আম বেচা-কেনার জন্য নওগাঁ জেলার সর্ববৃহৎ আমের হাট সাপাহার বাজারে আসে তারা। এতে আম পরিবহনে যুক্ত হয় ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার পরিবহন। যার ফলে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো চলে যায় আম পরিবহনকারী বিভিন্ন পরিবহনের দখলে। যাতে করে উপজেলা সদরের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে সৃস্টি হয় দীর্ঘ যানজোট। যানজোট নিরসনে এবার মৌসুমের শুরু থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহন করে সাপাহার লোড পয়েন্ট অফিস। যার মধ্যে ট্রাক, ট্যাংকলড়ি ও কভার্টভ্যান রাখার জন্য দু’টি অস্থায়ী টার্মিনাল স্থাপন করা হয়। যার একটি টার্মিনাল উপজেলা সদর হতে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দিবর ব্রীজ মোড়ে অপরটি সদর হতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে নিশ্চিন্তপুর মোড়ে স্থাপন করেছে সাপাহার লোড পয়েন্ট অফিস। এছাড়া দেশে চলমান বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ প্রার্দভাবের কারনে এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে ও দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে আসা আম পরিবহনকারী যানবাহনগুলি জীবণু মুক্ত করতে ব্লিচিং পাউডার ও সেভলন পানি স্প্রে করা, চালক হেলপার সংশ্লিষ্টদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম পরিবহনের সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সাপাহার লোড পয়েন্ট অফিস। যাতে করে এবছর উপজেলায় কিছুটা হলেও যানজোট কমবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসের নেতাকর্মীরা।
এব্যপারে সাপাহার লোড পয়েন্ট অফিসের সভাপতি মহরোম হোসেন, বলেন, প্রতি বছর আম মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে আসা ট্রাক, ট্যাংকলড়ি ও কভার্টভ্যান সহ আম পরিবহনে সকল প্রকার যানবাহনের যথাযথ সুব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, এবছর করোনার কারনে লোড পয়েন্ট অফিসের উদ্যোগে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করন এবং বাজারে যানজোট এড়াতে লোড পয়েন্ট অফিসের পক্ষ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।