রাজুল ইসলাম দক্ষিণ সুরমা, সিলেট প্রতিনিধিঃ
আগামী ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হচ্ছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের দু’বারের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৎ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মো. আবু জাহিদ। এর আগে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। সিলেটের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু জাহিদের প্রার্থিতা নিয়ে এরই মধ্যে জেলার রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রার্থিতার দৌড়ে অন্য সবার থেকে এগিয়ে রয়েছেন মো. আবু জাহিদ। এছাড়া আগামীর নেতৃত্বে আসার প্রবল সম্ভাবনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। একনজরে মো. আবু জাহিদঃ মো.আবু জাহিদ ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময় হাটি হাটি পা পা করে উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগঠক হিসাবে রাজপথ কাঁপিয়েছেন মো. আবু জাহিদ। খন্দকার মোস্তাককে যে কয়জন জুতাপেটা করে সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে সিলেট ছাড়া করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন আজকের আবু জাহিদ। ১৯৯২ সালে সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তারপর ১৯৯২ সালে ছাত্র আন্দোলন কমিটি সিলেট বিভাগীয় শাখার আহবায়ক এবং ১৯৯৩ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর একে একে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এর কার্যকরি কমিটির সদস্য, জামায়াত-বিএনপিকে পরাজিত করে টানা ২ বার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি জেলাজুড়ে পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিতি পান এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। মো. আবু জাহিদ রাজনীতির টানে যুক্তরাজ্যের আরাম আয়েশ, পরিবার পরিজন ছেড়ে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য দেশের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। একজন সফল জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি তিনি আগামীতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবেন; এমন অঙ্গীকার করেন তিনি।