থানায় ঢুকে ওসি’র কাছে চাঁদা চাইতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৪ প্রতারক। নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণাই ওদের পেশা। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছে তারা প্রতারক। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায়।
জেলা পুলিশ প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুলের কক্ষে ঢুকে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তারা তাদের পত্রিকার মাধ্যমে লেখালেখি করে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দেয় এবং গোপনে ভিডিও ধারণ ও কথা রেকডিং করার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. আজিজুল হক এর সন্দেহ হলে তাদের পত্রিকার কাগজপত্রসহ পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা প্রমাণ সাপেক্ষ কাগজপত্র ও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি।
কথিত সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা নিজেদেরকে ভূয়া সাংবাদিক বলে স্বীকার করে। অভিযুক্তরা পরস্পর একই উদ্দেশ্যে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে ‘অপরাধের খোঁজে’ পত্রিকার ষ্টিকার লাগিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণাপূর্বক গোপনে ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবী ও আদায় করে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়- কুমিল্লার লাকসাম থানার আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সেলিম নিজামী (৩৭), ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার রাজগাতি পূর্বপাড়া গ্রামের তাহেরউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৮), ফতুল্লা থানার নূরবাগ এলাকার মৃত আবেদ আলী আকন্দের ছেলে মো. ইউসুফ (২১) ডেমরা সারুলিয়া এলাকার আবদুল আউয়ালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া আবদুল মান্নানের ছেলে মাসুদ মিয়া (৩৫)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা রুজু পূর্বক ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।