গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ৫৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্দোলনের শুরুতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করে বিভাগ পরিবর্তনের আশ্বাস দেন এবং অফিসাদেশ পাঠান।
এরপর ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করেন এবং তিনি জানান এ সমস্যা সমাধান রিজেন্ট বোর্ড ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমান উপাচার্য ভারপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি রিজেন্ট বোর্ড কল করতে অপারগ। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন শুধু আমাদের দাবী মানার ক্ষেত্রেই যত সীমাবদ্ধতা দেখাচ্ছেন। অথচ গত ৫ ডিসেম্বর প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি রিজেন্ট বোর্ডের সম্মতিতে ৫ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। সার্কুলার প্রকাশের পরেও শিবচর ক্যাম্পাসের সকল প্রকার ভর্তি কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। যা রিজেন্ট বোর্ড ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল না। তাহলে আমরা আজ ৫৫ দিন যাবৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখা সত্তে¡ও কেন এ প্রশাসন আমাদের সমস্যার সমাধান করছেন না? সার্কুলার হওয়ার পরও যদি ভিসি স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা কমাতে পারেন, ভর্তি ফি কমাতে পারেন, তবে আমাদের ক্ষেত্রে কেন এ উদাসীনতা? আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয় আমরা ভিসি স্যারের সুস্পষ্ট বক্তব্য কামনা করছি। এ যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দ্রæত ক্লাসে ফিরতে সহযোগিতা করবে এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।
প্রশংগত ইলেক্ট্রনিক এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগ থেকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের রূপান্তরের দাবীতে গত ১৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। গত ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সেমিস্টার পরীক্ষায়ও অংশ নেয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর ও ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, শিবচরের ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়নি, স্তগিত করা হয়েছে। রিজেন্ট বোর্ডেও অনুমতি ছাড়াই গত বছর ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছিল। তাই ফি কমাতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়নি। তাছাড়া বিভাগ পরিবর্তন আর এ বিষয়গুলি সম্পূর্ণ আলাদা।