লিবিয়ায় মানব পাচার ও ২৬ জন বাঙ্গালিকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামী
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত গোপালগঞ্জের
কোটালীপাড়া উপজেলার প্রতারক শাওন খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী
জানিয়েছে গুলিতে নিহত মনির আকনের স্ত্রী মোছাম্মাৎ মেরিনা বেগমসহ
শাওনের নিজ গ্রাম হিরনবাসী। শাওন খান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার
উত্তর হিরন গ্রামের মো. মোদাচ্ছের হোসেন খানের ছেলে। তার নিজ জন্ম স্থান
হিরন গ্রামেও তার প্রতারনার স্বীকার হয়েছে অনেকে। এহেন অপরাধ থেকে
কোন অবস্থাতেই যেন ক্ষমা না পায় এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছে ওই এলাকাবাসী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লিবিয়ায় মানব পাচার ও ২৬ জন বাঙ্গালিকে গুলি করে
হত্যার মধ্যে মাদারীপুরের কুনিয়া গ্রামের মৃত খালেক আকনের ছেলে মনির
আকন ছিল একজন। গত ৮ই জুন নিহত মনির আকনের স্ত্রী মোছাঃ মেরিনা
বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা
মামলা করেন। পরবর্তীতে মামরাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলার
২নং আসামী কুনিয়া গ্রামের দিনু শেখের স্ত্রী প্রভা বেগমকে গ্রেফতার
করে পুলিশ। প্রভার স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতে মামলার অন্যতম আসামী হয়
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উত্তর হিরন গ্রামের মো. মোদাচ্ছের হোসেনের
ছেলে শাওন খান।
নিহত মনির আকনের স্ত্রী মোছাম্মাৎ মেরিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে
ইটালি নেওয়ার কথা বলে ৮,৫০,০০০ টাকায় নেয় আসামীগন। তাকে ইটালি না
নিয়ে লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। তারা তাদের নির্দিষ্ট দেশ ইটালীতে যেতে না
পারায় প্রতারক চক্রের সাথে টাকা পয়সা ফেরৎ চাওয়া নিয়ে জীবনের শত্রæ হয়ে
যায় মানব পাচার চক্রের সদস্যরা। এক পর্যায় সেখানে ২৬ বাঙ্গালি হত্যার সাথে
মনির আকনকেও হত্যা করা হয়। এই প্রতারনা ও হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে মাদারীপুর সিআইডির সহকারী পরিদর্শক মোহম্মাদ হাফিজ আল-
আসাদ বলেন, মামলার ২নং আসামী প্রভার স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতে শাওন
খানকে গ্রফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে।