[caption id="attachment_642" align="alignnone" width="615"] লাবণ্য নিহতের ঘটনায় উবারের দুঃখ প্রকাশ[/caption]
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠান উবার। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উবারের বাংলাদেশি জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে উবার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যে কোনো সহযোগিতা করতে উবার প্রস্তুত আছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উবার যাত্রী এবং চালকের নিরাপত্তা সবার আগে। নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
এ দিকে রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, উবারের মোটরসাইকেলে গন্তব্যে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির কাভার্ড ভ্যানচাপায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের ঘটনায় উবার কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে।
তিনি বলেন, উবারের মোটরসাইকেল চালক সুমন যাত্রী ফাহমিদাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন এবং অসৎ উদ্দেশে বারবার ব্রেক করছিলেন। দুর্ঘটনার পর দায় এড়াতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে সুমন পালিয়ে যান। পরে চালককে খুঁজে পেতে উবার কর্তৃপক্ষের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য চাওয়া হলে তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। এছাড়া চালক সুমন উবারে রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। উবারের এসব গাফিলতির কারণে সুমনকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে। ঘটনার বিস্তর তদন্তে যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মোটরবাইক থেকে পড়ে নিহত হন ২১ বছর বয়সী লাবণ্য। তিনি বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ইমদাদুল হকের মেয়ে। দুর্ঘটনার দিন তিনি রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন।