শিক্ষাজীবনের শেষ দিন ক্যাম্পাসে নেচে-গেয়ে, আনন্দ-উল্লাসে উৎসবের মাধ্যমে ‘র্যাগ-ডে’ উদযাপন করে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে এবার ক্যাম্পাসে এই ধরনের উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্যমতে, এই ‘কথিত র্যাগ-ডে’ অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘র্যাগ-ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
র্যাগ-ডে উৎসব নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদে ’ইথিক্যাল রিভিউ কমিটি’ গঠনের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়াও এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সমন্বিতভাবে অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নেওয়া ও চূড়ান্ত ফল প্রকাশের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মৌলিক গবেষণা প্রকল্প নেওয়া ও গবেষণাধর্মী প্রকাশনার ওপরও সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এই একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দসহ একাডেমিক কাউন্সিলের তিন শতাধিক সদস্য সংযুক্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘র্যাগ ডে উদযাপন করতে গিয়ে অনেক সময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়। তাই যেসব উদযাপন এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয় সেগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মার্জিত উপায়ে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না।’