রোজা ভেঙে ফেলা যাবে যেসব কারণে

ইসলাম
রোজা আল্লাহর ফরজ বিধান। মানুষের শক্তি, সামর্থ্য ও সাধ্যের বাইরে ইসলামে কোনো বিধান নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ কারো ওপর এমন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না, যা তার সাধ্যাতীত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)রোজা ফরজ বিধান হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু কারণে ভেঙে ফেলা যায়। নিম্নে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো-
ছবি সংগ্রহীত

এক. যদি এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে রোজা রাখার শক্তি নেই বা রোজা রাখার দ্বারা অসুস্থতা বেড়ে যাবে, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে হ্যাঁ, যখনই সুস্থ হয়ে যাবে তখনই তার ওপর কাজা করে নেওয়া ওয়াজিব। (আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ২০২)

আরো পড়ুনঃ আদালতে “বালিশ মামলার” শুনানি, সঠিক তদন্ত না হলে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে

দুই. রোজা রাখার দরুন কোনো ব্যক্তি এমন দুর্বল হয়ে যায় যে রোজা রাখার শক্তি নেই, তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য রোজা ভেঙে ফেলা বৈধ। (আপকে মাসায়েল, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা ২০৩)

তিন. রোজা রাখা অবস্থায় যদি এমন ক্ষুধা বা পিপাসা লাগে যে প্রাণ চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলা যাবে। (আলমগিরি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ২০৭)

চার. গর্ভধারিণী নারী বা স্তন্যদানকারিণী নারী যদি নিজের ওপর অথবা নিজের বাচ্চার ওপর প্রাণাতিপাতের আশঙ্কা করে, তাহলে তার জন্য রোজা ভেঙে ফেলা বৈধ। (আলমগিরি,  খণ্ড-১, পৃষ্ঠা ২০৭)

রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন:dainikajkermeghna@gmail.co

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.