ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড় কৈবর্তখালি গ্রামের একটি সড়কে ওই এলাকাবাসির ভোগান্তির শেষ নেই।
যুগে যুগে জনপ্রতিনিধি আসছে-যাচ্ছে এবং বার বার নির্বাচনের আসলেই এলাকাবাসি প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও পাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবে সড়কের কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা।
প্রায় দের যুগ আগে বড় কৈবর্তখালীর ক্লাব বাসস্ট্যান্ড থেকে উপজেলার ফুলহার গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির রাস্তাটি ইটের সোলিং করা হয়। তারপর দুই যুগ পার হতে চল্লেও হয়নি কোন সংস্কার। এ রাস্তাটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পোনা নদীর শাখা খাল। ওই খালের উপরের একাধিক ব্রীজ কালভার্ট রয়েছে। সে ব্রীজ কালভার্ট গুলো ভেঙে এবং সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইটের ওই সড়কটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে ওই খালে পড়ে গিয়ে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩ কি.মি .দীর্ঘ ইট সলিং সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অসংখ্য খানা খন্দের সৃষ্টির কারনে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটিতে বড় বড় অসংখ্য গর্তের সৃস্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড় কৈবর্তখালী গ্রামের ওই সড়কটি দিয়ে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ হাসপাতাল , স্কুল ,কলেজ, ব্যংক,বীমা, পোস্ট অফিস ইউনিয়ন পরিষদ, থানা ও হাটবাজারে যাতায়াত করছেন।
সড়কটি ভেঙেচুরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অসংখ্য পথচারি ও এলাকাবাসির। দীর্ঘদিন ধরে রিক্সা-ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় বেশী ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকার বৃদ্ধ, রোগী ও শিশু শিক্ষার্থীসহ মালামাল বহনকারীদের। সামন্য বৃষ্টিতে সড়কে খুব খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সড়কটিতে দুটি ব্রীজ রয়েছে। ব্রীজ দুটির দুপাশের সংযোগ সড়কের ইট মাটি সড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার শুনছি সড়কটি টেন্ডার হয়েছে কিন্তু অদৃশ্য কারনে তার বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। তাই এলাকাবাসী এই সড়কটি পুনরায় নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে রাজাপুর সদর উইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার বলেন, ওটা তেওয়ারি বাড়ির রাস্তা। টেন্ডার হয়েছে। শিঘ্রই নির্মান কাজ শুরু হবে।