রাসেলস ভাইপার নিয়ে যা বললেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

জাতীয় রাজশাহী

সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক বিষধর সাপের উপদ্রব শুরু হয়েছে। সারা দেশে এ সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার ও জনসাধারণের মাঝে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, জনগণকে জানাতে হবে সাপে কামড় দিলে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয় কী, কোথায় গেলে এন্টিভেনম পাবে। হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনমের জোগান সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জমিসহ ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং এখন তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে যাতে করে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারেন। অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে কোনো স্থাপনা করা হলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিষেবা দেবে না। এসব ক্ষেত্রে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনাকালে হুমায়ূন কবীর বলেন, ইতোমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সশরীরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন। প্রকল্প ব্যয় ও মেয়াদ যাতে পরবর্তীতে বাড়াতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন বিভাগীয় কমিশনার। আসন্ন ৩০ জুন শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় যাতে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেই বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিগত মাসিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় কৃষি জমিতে তামাকের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাপের একক হিসেবে ‘মণ’কে নির্দিষ্ট কিলোগ্রামে নির্ধারণ, পদ্মাপারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্রেতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে আনা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতা ভোগীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে প্রচারণা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজশাহী বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সূত্রঃ যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.