দৈনিক আজকের ডট কম সাহেএমরান,রামগঞ্জ নিজস্ব প্রতিনিধি ৩০/০৫/১৯ বৃহস্পতিবার।
রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর বকুলতলা দিঘিতে ড্রেজিং লাগিয়ে বালু লুটের মহোৎসব চলছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ ফয়েজ আহমেদ এবং লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদার শামিম আহমেদ ক্ষমতার দাফট দেখিয়ে বালু লুট করায় দিঘির পুর্ব ও উত্তর পাশে বসবাস কারী এবং পশ্চিম পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। দিঘি সংস্কার অজুহাতে বালু লুট বন্ধ করতে সম্মিলিত গ্রামবাসী,ব্যবসায়ী,ভুমির মালিকগন সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে একাধিকার লিখিত আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছে না।
সুত্রে জানায়,উপজেলার বকুলতলা এক একর বায়ান্ন শতাংশ খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিতে অবস্থিত দিঘি সংস্কার করতে ল²ীপুর জেলা পরিষদ চলতি অর্থ বছরে বরাদ্ধ দেয়। মেমার্স মেঘনা কন্ট্রক্টশন টেন্ডার পেয়ে শামীম আহমেদ নামের আরেক ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করে দেয়। শামিম সংস্কার কাজে বিশালাকার ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসব চালায়। দিঘির দক্ষিনের ভুমির মালিক মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন,শামীম মোটা অংকের টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ মোঃ ফয়েজ আহমেদের পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের বাড়ির পাশে একটি পুকুর ভরাট করছে। অথচ দিঘির পাড় রক্ষার্থে আমরা গাইট ওয়াল নির্মান করে দিলেও সেখানে বালু দেওয়া হয় না। আমরা গ্রামবাসী,ব্যবসায়ী,ভুমির মালিকগন পৃথক পৃথক ভাবে ল²ীপুর জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার,রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে আবেদন করেছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সিএ মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন,ঠিকাদার পাইপ লাইন দিয়ে আমার বাড়ির পাশে বালু নেওয়ার কাজ শুরু করলে আমি নিজেই বাধা দিয়। ঠিকাদার শামীম আহমেদ বলেন,টেন্ডার অনুযায়ী ৬ ফুট বালু উত্তোলন করে যেই কোন স্থানে বালু নিয়ে যেতে পারবো। দিঘির পাড়ে ব্যক্তিগন অর্থায়নে গাইট ওয়াল নির্মানকারীদের বালু দিতে হবে এমন কোন বাধ্যগত নেই। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করলে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে লক্ষীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী টেন্ডার দিলো কেনো।