লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়ার ফেইজবুক লাইভ ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার বিকেলে চন্ডিপুর ইউপির ফতেহপুর চাল ডিলার আবুল কাসেম অতিরিক্ত মুল্যে চাল বিক্রি নিয়ে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে স্বার্থনেষী মহলের অপতৎপরতা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় চেয়ারম্যান ইউনিয়ন ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,ফতেহপুর চাল ডিলার আবুল কাসেম ৭/৮ বস্তা চাল কার্ডধারীরা না নেওয়ায় গ্রামের গরিব মানুষগুলোর কাছে বিক্রি করে। যারা ভিজিডিসহ বিভিন্ন ভাতার কার্ডের সুবিধা নেওয়া এবং একই ব্যক্তির নামে ২টি কার্ড থাকায় আমি কয়েকটি কার্ড জব্দ করি। যা আমি আমার উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
কিন্তু শুক্রবার লক্ষীপুর জেলার এনএসআই এর উপ-পরিচালক বসতঘরে তল্লাসী চালিয়ে চাল উদ্ধার করার বিষয়ে স্বার্থানেষী মহল আমার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যম সহ সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশ করেছে।
লাইভের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান কাঁন্না ভেঙ্গে পড়েন। ইউপির সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন,করোনা ভাইরাসে সরকার দুই ধাপে দুই টন চাল ও ১০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। এমপি ড.আনোয়ার হোসেন খান সাহেবের নিজেস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে দেওয়া চাল-ডাল এখানে আসেনি। কিছু ব্যক্তি মনে করছেন করোনা ভাইরাস উপলক্ষে সরকার থেকে অনেক বরাদ্ধ আসছে।
আর চেয়ারম্যান নিজে সে বরাদ্ধ নিয়ন্ত্রন করছে। ডিলার চাল চুরি করলে চেয়ারম্যানের উপর দোষ পড়বে কেনো। খাদ্য বান্ধব চাল উত্তোলন ও বিক্রি বিষয় সার্বিক তদারকিতে রয়েছেন ট্যাগ অফিসার।