বৈরী আবহাওয়ার কারণে মিয়ানমারের ইয়াংগুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। এতে পাইলটসহ ১৮ জন যাত্রী আহত হন।
বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে এ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৪টা ৫ মিনিটে মিয়ানমার থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট। ওই ফ্লাইটটি বুধবার (০৮ মে) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এর আগে রাত ১০টা ৪৭ মিনিটে মিয়ানমার সিভিল এভিয়েশন অথরিটির কাছ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায় বিমান।
এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশের দুর্ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন: ইফতার কেমন হওয়া উচিত
অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারের বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এস২-এজিকিউ-বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি প্রায়ই নষ্ট হতো। এ পর্যন্ত কয়েকবার বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বিমানের এই এজিকিউ। এয়ারক্রাফটটি অপারেশনের উপযোগী না হলেও প্রতিদিন চার-পাঁচটি রুটে চলাচল করতো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৬ মার্চ হায়দরাবাদ থেকে সি-চেক (বড় ধরনের মেরামত) সেরে দেশে আসার পথেই এয়ারক্রাফটটির ইঞ্জিনের ওপরে থাকা ব্ল্যাংকেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে ইঞ্জিন অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং ইঞ্জিন অয়েল বিপজ্জনক মাত্রায় চলে আসে।
তখন আকাশেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পায়। যদিও বিমানটিতে ওই সময় কোনো যাত্রী ছিল না। সেদিন এয়ারক্রাফটটির নিউমেটিক লাইনের পাইপে ক্ল্যাপ খোলা ছিল। যে কারণে, অয়েল লিক করায় এই সমস্যা হয়।
ওই ঘটনার দুই মাস না যেতেই বুধবার আবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বিমানের এজিকিউ। যদিও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ ব্ল্যাংকেট পুড়ে যাওয়ার পর কানাডা-বোম্বায়ডিয়ার কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে উড়োজাহাজটিকে চলাচলের ঘোষণা দিলে বিমান আবার সেটিকে অপারেশনে নিয়ে আসে। তার দুই মাসের মধ্যেই বিধ্বস্ত হলো সেটি। এটি আর বহরে ফিরে আসতে পারবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি এয়ারক্রাফটটিকে ভারতের হায়দারাবাদের ‘জিএমআর অ্যারো টেক কোম্পানি’তে পাঠানো হয় ‘সি-চেক’ (বড় ধরনের মেরামত) করানোর জন্য। ১৫ দিনে ‘সি-চেক’ শেষ করার কথা থাকলেও সময় লাগে প্রায় দেড় মাস।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল থেকে উড্ডয়ন করে, সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অবতরণের সময় ড্যাশ-৮ উড়েজাহাজ রানওয়ে ছিটকে পড়ে। সূত্রে: bangladeshtoday