কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চারপাশেই বহমান নদীপথ। এ নৌপথে চলাচল করে বালুবাহী বাল্কহেড, মাছ ধরার ট্রলার, পণ্যবাহী ট্রলারসহ বিভিন্ন প্রকারের নৌযান। দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল প্রকাশ্যে মেঘনার নৌপথে চলাচলকারী নৌযান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি নিরসনে মেঘনা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান এর বিত্তিতে ২৯ মার্চ সোমবার মোঃ জুয়েল নামক একজনকে আটক করেছে মেঘনা থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা থানার এসআই মোঃ নাজিম উদ্দিন ফোর্স নিয়ে গতকাল ২৯ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা ৫টায় মেঘনা উপজেলা রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষনখোলা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মোঃ শফিক মিয়ার পুত্র মোঃ জুয়েল (২২) কে মেঘনা নদীর শাখা পাড়ারবন্দ ব্রিজের নিচে থেকে গ্রেফতার করেন।
এসআই মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, মেঘনা নদীর শাখা পাড়ারবন্দ ব্রিজের নিচে সিলেট হইতে দাউদকান্দি গামী সিলেকশান বালু বোঝাই, বোটে অবস্তানরত লোকজনদের মারধর করিয়া জোর পূর্বক টাকা আদায় করতেছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করি এবং অপর আসামী মোঃ ফাহিম (২১) ইঞ্জিল চালিত নৌকা নিয়া পালাইয়া যায়, সকালে তাকে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগীরা জানায়, মেঘনার শাখা নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার পথে, মাছ ধরার ছোট ট্রলার দিয়ে ওই পথে চলাচলকারী নৌযান থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করা হয়, এই পথে চললে চাঁদা দিতে হবে এটা জানা তাই আগে থেকেই আমরা টাকা রেডি রাখি , টাকা দিতে দেরি হলেই মারধরের শিকার হই, মেঘনার মানিক্কার চর ও পাড়ারবন দুটি পয়েন্টে ভোর ৬টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত, প্রতিটি ট্রলার থেকে ৩০০/৫০০ টাকা ও বালুবাহী বাল্কহেড থেকে ১০০০/১৫০০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে পুনরায় চালু করা হয়। এলাকাবাসী জানান প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারি না কিন্তু ঘটনা সত্য আমরা চাই এর একটি বিহিত হোক।