মোঃ আলাউদ্দিন: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় যৌথ অভিযানে নলচর এলাকার মেঘনা নদী থেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১টি বালুবাহী বাল্কহেড সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা ও নৌপুলিশ। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে মো. ফেরদৌস মোল্লা (৩৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার নবীনগর গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন সরকার (৩০), লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর থানাধীন মধ্যেরচর রমনি মোহন গ্রামের মোস্তফা মাঝির ছেলে মো. মিরাজ (২৫), উপজেলার নলচর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে আকবর আলী (৪৭), বরগুনা জেলার বরগুনা সদর থানাধীন আজকরকাঠি গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির (১৮), পটুয়াখালী জেলার ধুমকি থানার চর বড়ুয়া গ্রামের বাকের হাওলাদারের ছেলে মো. ইউসূফ (৪০), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর আমরা গাছিয়া গ্রামের মৃত কাশেম আলী জর্ন্মদারের ছেলে মো. পনু জর্ন্মদার (৫৭), নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ভাটিবন্দর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে এমতাজ আলী (৪৭), উপজেলার নলচর গ্রামের বশীর উদ্দিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৪), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমরাগাছিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. ইমরান (২৫) ও বরগুনা জেলার বরগুনা সদর থানার আজগরখাটি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আবু জাফর (৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাত ৪টার দিকে নলচর এলাকায় ইজারা বিহীন অবৈধভাবে একটি চক্রকে বালু উত্তলন করতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে এমবি তোফাজ্জল হোসেন নামক বালুবাহী বাল্কহেডসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় অভিযানরত পুলিশ। পরে নৌপুলিশের এএসআই শেখ মো. মঈন উদ্দিন (নিঃ) বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, কয়েকদিন যাবত তারা এই এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। তাদেরকে আটক করার জন্য বেশ তৎপর ছিলাম। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । নদীপথে কোন অপরাধের সংবাদ পাওয়া গেলে যৌথ বাহিনী অভিযানের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এ বিষয়ে মেঘনা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালি উত্তোলনের সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি। এরপর মেঘনা থানা পুলিশের অবস্থান স্পষ্ট করলে আপনার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে রাতের অন্ধকারে বালি উত্তোলন আবার শুরু করলে জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এই অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।