কুমিল্লার মেঘনা চাউলাঘাটা গ্রামে স্বপন মিয়া (৪৬) নামে একজন কীটনাশক (কেরির ট্যাবলেট) বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা যায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সকাল ০৯ ঘটিকায় মেঘনা থানাধীন চাউলাঘাটা গ্রামের পূর্ব পাশের বাহের চরের খালে মাছ ধরতে গিয়ে বিষ খায় স্বপন।
স্বপনকে ছটফট করতে দেখে লোকজন এগিয়ে বিষ খেয়েছে বুঝতে পারে ও তার স্বজনদের খবর দেয়,নিহত স্বপনের চাচা আবুল কালাম,জুসনা,সুমন সহ পাঁচজন,গোরিপুর রায়পুর কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যায়,কবিরাজ পারবেনা বললে কুমিল্লা মেডিকেল নিয়ে যেতে চাইলে রাস্তায় মারা যায়।নিহত স্বপনের বোন সাহিনুর মেঘনা থানায় মৃত্যু সংবাদ প্রসঙ্গে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন,যাহাতে উল্লেখ করেন টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে পরিবারের সাথে অভিমান করে স্বপন মিয়া আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে মৃত্যুর ১৩ দিন পর একই গ্রামের মোশারফ তার স্ত্রী কন্যা শাশুড়ি সহ চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নিহত স্বপনের ভাই টিপু মিয়া। এতে উল্লেখ করা হয় মোশারফ এর স্ত্রী মেয়ে ও শাশুড়ির অত্যাচারে স্বপন আত্মহত্যা করেছে,এ মামলায় পুলিশ সালেহাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন,আদালত থেকে জামিন জামিনে বের হয়েছে ছালেহা।
এই মামলায় অভিযোক্ত মোশারফ জানান,নিহত স্বপন মিয়া পাঁচ লক্ষ টাকার উপরে হাওলাদ (দেনা)করেছেন,পাওনা টাকা পরিশোধ করতে তিন শতাংশ জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন,ছোট ভাই মোঃটিপু মিয়া,পিতা মোঃ লেদু মিয়া,স্ত্রী জেসমিন,বিক্রি করতে বাঁধা দিয়ে আসছে,লেনদেন নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে স্ত্রী,ছোট ভাই এবং পিতার সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না তার।
পারিবারিক কলহ চলছে,স্বপনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার,বসত ঘড়ে থাকা (কেরির ট্যাবলেট)ফেলে দেওয়ার কারণে স্বামীর সাথে স্ত্রীর জেসমিন এর ঝগড়া হয়,২২শে সেপ্টেম্বর সকালে দাউদকান্দি উপজেলা চেংঙ্গাকান্দি গ্রামে পিতার বাড়িতে অভিমান করে চলে যায়,আদালতে ও সাংবাদিকদের কাছে স্বপনের পরিবারের ভিডিও ও অডিও দিয়েছি,অডিও ও ভিডিও এর মধ্যে প্রমাণ আছে পারিবারিক এবং পাঁচ লক্ষ টাকা হাওলাদ (দেনা)স্বপনের।
২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার ২০২১,দ্বিতীয় বার সেননগর বাজার থেকে কেরির ট্যাবলেট কিনে এনে খেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেন। নিহত স্বপন আমার থেকে ১৬০০ হাজার টাকা হাওলাদ নিয়ে ছিল ঐদিন আমার স্ত্রী টাকা চাইতে গিয়েছিল।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে নিহত স্বপনের ভাই মোঃ টিপু মিয়া আমি নিরিহ দেখে আমাকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে যাতে কারো টাকা না দিতে হয়,আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।আমি মেঘনা থানায় এই মিথ্যা হয়রানিমুলক কর্মকান্ডের বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি ।
টিপু মিয়ার মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক দেখে পালিয়ে যায়।
মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান টিপু মিয়ার মামলার তদন্ত করে আমরা সালেহাকে গ্রেফতার করি,মোশারফ কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে এমন একটি অভিযোগ করেছে আমরা তদন্ত করে দেখছি সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।