মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা প্রতিনিধি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় তিনটি জায়গায় দেখা গেছে সেতু আছে কিন্তু রাস্তা নেই, উপজেলার, লুটেরচর ইউনিয়ন দড়িলুটেরচর এলাকায় একটি, মানিকারচর ইউনিয়নের বারহাজারী গ্রামে একটি ও চেঙ্গাকান্দি একটি, চার বছর আগে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে এই এই তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুগুলো নির্মাণের চার বছর অতিবাহিত হলেও সেতুর আশপাশে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুগুলো জনসাধারণের কোনো উপকারে আসছে না।
মেঘনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দুর্যোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় একটি মহল এ এলাকায় নতুন সড়ক নির্মাণ করবে এমন প্রতিশ্রুতিতে উপজেলা দুর্যোগ বিভাগের মাধ্যমে দড়িলুটের চর,বারহাজারী,ও চেঙ্গাকান্দি খালের ওপর ৩০ফুট দীর্ঘ এই তিন সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর এখনো কোনো কাজে আসেনি। দড়িলুটের চর থেকে ঢাকা-মেঘনা আঞ্চলিক সড়কে মিলিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। এজন্য এলাকাবাসীর সুবিধার্থে একটি কাচা সড়ক নির্মাণ করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে ওই সড়কটি এখনো নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। এ সেতুটি জনসুবিধার্থে কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুকবুল গাজী বলেন, একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করা শর্তেই কর্তৃপক্ষ দড়িলুটেরচর এলাকার জনসুবিধার্থে একটি সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এদিকে মানিকারচর ইউনিয়ন সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান সেতু নির্মাণে যদি মানুষের উপকারে না আসে তাহলে সরকারের এই টাকা নষ্ট করার কারণ আমার বোধগম্য নয়।এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সেলিম খান এর সাথে কথা বললে জানান এগুলো আমার আমলে হয়নাই তাই আমি জানিনা কিভাবে হলো।