মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল প্রতারণার ছয়লাভ, মোবাইল এর মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন লোভ লালসা এবং প্রেমের প্রলোভন সহ প্রতিনিয়ত কোন না কোন গ্রামে হচ্ছে এই প্রতারণা, প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বিকাশ/নগদ ব্যবহারকারী এজেন্ট, বিকাশ/নগদ পার্সোনাল ব্যবহারকারী লোকজনও, অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোবাইলে দেওয়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। বিশেষ টার্গেটে প্রবাসীদের স্ত্রীরা। সুমাইয়া নামে প্রবাসীর স্ত্রী এক মহিলা বলেন আমাকে ফোন করে জিন জাতি পরিচয় দিয়ে, কোরআন-হাদিস, জান্নাত-জাহান্নাম এর কথা বলে কোরআনে হাত রেখে শপথ করাইয়া বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা সহ লোভ দেখাইয়া আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা, পাঁচ ভড়ি আট আনা ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় আর আমাকে থানার সামনে থাকা ব্রিজের পাশে গুপ্তধন রাখা আছে বলে। তাদের কথা অনুযায়ী সেখানে গেলে একটি পিতলের মূর্তি পাই। আর সাত দিন পরে আমি স্বর্ণের হারি পেয়ে যাব বলে আশ^স্ত করে, পর থেকে মোবাইল নাম্বার বন্ধ। ব্যবসায়ী বিকাশ এজেন্টের মালিক নাঈম হাসান বলেন বিকাশ এ এস আর এর নাম্বার কপি করে আমার কাছ থেকেও টাকা নিয়ে যায়। বিকাশ ব্যবহারকারী মনসুর বলেন, আমাকে বলে অফিস থেকে ফোন দেওয়া হয়েছে কম্পিউটারের মাধ্যমে কথা বলছে মনে হয়, আমাকে বলা হয় বিকাশ থেকে ফোন দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে একটা ওটিপি কোড দেওয়া হয়েছে এটা দেওয়ার জন্য বলা হলে আমি বিকাশ কোম্পানি মনে করে কোড নাম্বারটা দেই পরে আমার সব টাকা নিয়ে গেছে। প্রতারণ মাধ্যমে আত্মসাৎ করা কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে,এ নিয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে অনেক এবং উদ্ধার হয়েছে কিছু টাকা ও মোবাইল কিন্তু এই পর্যন্ত ধরা পড়েনি প্রতারক চক্রের কোনো সদস্য। মোবাইল চুরির ঘটনাও ঘটেছে ব্যাপক। এ বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ছমিউদ্দিন এর সাথে কথা বললে জানান আমরা এই পর্যন্ত অনেকগুলো অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের মাধ্যমে অনেকগুলা মোবাইল এবং কিছু টাকা উদ্ধার করেছি। এ বিষয়গুলো আমরা গভীর পর্যবেক্ষণে আছি, আসলে বিষয়টা হচ্ছে যারা এই ট্রেভে পড়ে বা প্রতারক চক্র ওদের বিভিন্ন লোভ দেখায় আপনাদের মাধ্যমে আমার মেসেজ কেউ যেন লোভে না পড়ে, কারণ ওরা বিভিন্ন লটারি বা টাকা-পয়সা স্বর্ণালংকার পেয়ে যাবে, সম্পদ পেয়ে যাবে এরকম লোভ দেখায়, আমরা এই লোভে না পড়লেই আশা করি ওরা কিছু করতে পারবেনা, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের মেসেজ যে কেউ লোভের বশবর্তী হয়ে আপনার ওটিপি/পিন বা আপনার কোন তথ্য দালাল চক্রকে নিশ্চিত করবেন না।