মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় সোমবার উপজেলার পুরান বাটেরা সংলগ্ন কাঁঠালিয়া নদীতে একই পরিবারের ১৪ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিল চালিত ট্রলার আকস্মিক ডুবে যায়। ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে পুরান বাটেরা গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলার থেকে নারী পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ জনকে উদ্ধার করে কিন্তু তামান্না আক্তার (৫) নামে এক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ জনকে দাউদকান্দি এলহাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ ঘটিকায় দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে, এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা চার। নিহতরা হলো কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৫৫) মেয়ের ঘরের নাতিন আয়েশা আক্তার (১২), মরিয়ম আক্তার (৭) তামান্না আক্তার (৫)। নিহতরা সবাই ঢাকার ডেমরা থানার সুকুশি গ্রামে বসবাস করে। মামার বাড়ি তিতাস উপজেলার মোহনপুর গ্রামে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান দুর্ঘটনার শিকার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন, মেঘনা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয়ে নিহত জুলেখা আক্তার এর ছেলে ফারুক মিয়ার কাছে আর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেওয়া হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মাসফিকা হোসেন।