মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় একই দিনে প্রধান দুই দলের কর্মসূচি হওয়াতে গত কয়েকদিন ব্যপক উত্তেজনা বিরাজ করছিলো, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছিলো।
আওয়ামীলীগের আগষ্ট মাসের শোক দিবসের কর্ম সূচি ও বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিম-কে হত্যার প্রতিবাদে, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। এদিকে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভকে প্রতিহত করতে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদারের নেতৃত্বে সকল অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভোর থেকে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। যোগদেন দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী সুমন। আওয়ামীলীগের বাধার মুখে প্রধান সড়কে না উঠতে পারলেও আওয়ামী লীগের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলার রামপুর বাজার সহ কয়েকটি স্থানে। রামপুর বাজারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এম মিজানুর রহমান, সলিমুল্লাহ মোহাম্মদ, সাবেক যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গাফফার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সহ অন্যরা। অপরদিকে উপজেলার গোবিন্দ পুর ইউনিয়নের সেননগর খিরাচক সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক শাহিন, কুমিল্লা উঃ জেলা যুব মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন, গোবিন্দ পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, যুবদল নেতা মহসিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এম আকিল মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি স্বাধীন সরকার, বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান সরকার, গোবিন্দ পুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ রাসেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সোহেল শাহরিয়ার প্রমুখ। এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ছমিউদ্দিনের নিকট আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে আছে। আওয়ামিলীগ শান্তিপূর্ণ ভাবে পুরো উপজেলায় অবস্থান নিলেও বিএনপির তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।