মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৭ বছর অতিবাহিত হলেও নতুন ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ক্লাস চলাকালে ভবনের বিম ও ছাদের পলেস্টার খসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। সরে জমিনে জানা যায়, চন্দনপুর ইউনিয়নের ৪২ নং সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ও ১৯৭৩ সালেই বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ করা হয়। সরকারি ভবন নির্মিত হয় ১৯৯০ সালে। চার কক্ষের ভবনটি থেকে পলেস্টার খসে পড়ছে, রডের গায়ে মরিচা ধরেছে, জরাজীর্ণ অবস্থায় পিলার গুলো দাঁড়িয়ে আছে, ভবনের ভিতরের অংশের বিমগুলো যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে, এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে দুটি কক্ষে প্রাক-প্রাথমিক দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চলছে। সহকারী শিক্ষকদের অফিস ভবনের ছোট কক্ষটির অবস্থা নাজুক। সবকটি কক্ষের মেঝে ভেঙ্গে গেছে, বিদ্যুতিক পাখা চালু করলে পলেস্টার খসে পড়ে তাই বিদ্যুৎ থাকলেও পাখা বন্ধ করে প্রচ- গরমের মধ্যে পাঠদান করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ১৬৭ শিক্ষার্থী রয়েছে। ছয়টি পদের অনুকূলে প্রধান শিক্ষক সহ সাত জন শিক্ষক রয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ জানান ২০১০ সাল থেকে সহকারী শিক্ষক ও একবছর থেকে (ভাঃ প্রা) প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্বে বিদ্যালয়ের এমন দৈন্যদশা দেখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত আছেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে হচ্ছে। সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক জীবন তারা ২০১৭ সালে নতুন ভবনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে আবেদন করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছয়টি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ হলেও আমাদেরটি হয়নি। সহকারী শিক্ষক মোঃ সুমন মিয়া জানান, দীর্ঘ ১১ বছর থেকে এই স্কুলে আছি এই পর্যন্ত ভালভাবে সংস্কারের হয়নি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে বাচ্চারা লেখা পড়া করে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি, এই পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া হয়নি। তবে ভবনটির ২০১৭ সালে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল কেন স্কুলটির ভবন পায়নি বলতে পারব না। তবে বিদ্যালয়টির চিত্র তুলে ধরে ভবনের প্রযয়োজনীয়তা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।