মোঃ শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা যার চারপাশে মেঘনা নদীর শাখা নদী বেষ্টিত। মেঘনার বেশিরভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষিকাজ (কৃষক) মাছ ধরা (জেলে) ট্রলার চালক (মাঝি) ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে মাছ ধরার নামে শাখা নদীগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা উপেক্ষা করে নদী বন্ধ করে গড়ে উঠেছে নদীতে শত শত ঝোপ । তার মধ্যে উল্লেখ্য দাউদকান্দি থেকে মেঘনা-তিতাস চলাচলের নদী কাঁঠালিয়া, বৈদ্যবাজার থেকে চন্দনপুর যাওয়ার পথে মৈশারচর, রামপ্রসাদের চর, মেঘনা ঘাট থেকে সাতানি যাওয়ার পথে সোনাকান্দা, সাতানি, রামপুর, মেঘনা ঘাট থেকে আলিপুর ঘাটে যাওয়ার পথে ওমরা কান্দা এই স্থানগুলোতে দেখলে মনে হয় যেন ঝোপের প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে পুরো নদী যেন গিলে খেয়েছে ঝোপের মালিকরা। কচুরিপানা দিয়ে বুঝাই, আর এর প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের ট্রলার চালকদের উপরে। প্রাণহানিও ঘটছে মানুষের। উল্লেখ্য গত ৩ জানুয়ারি কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলার ডুবে একই পরিবারের ৪ জন নিহত, গত ১৫ জানুয়ারি বড়িয়াকান্দি ও মৈশারচর থেকে যাওয়ার পথে তুলাতুলি আনছার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী কচুরিপানর জন্য ট্রলার ডুবে যায় পরে এলাকাবাসি এসে ছ্ত্রাছাত্রীদের উদ্বার করে ,এভাবেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রলার ডুবে যাওয়ার কারণ নদীতে অতিরিক্ত কচুরিপানা থাকাতে ট্রলারের স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে চালাতে গেলে ট্রলারের নিচের তলা খুলে পড়ে যায় এবং এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। আলিপুর ঘাটে ট্রলার চালক আলমগীর হোসেন, মিলন মিয়া, মোঃ সোহেল,সাতানি ঘাটের আলী মিয়া, জহির মিয়া সহ নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেকেই বলেন মেঘনায় প্রায় সব নদী-খালে এমনভাবে ঝোপ দিয়েছে এবং মাছ বেশি পাওয়ার আশায় কচুরিপানা দিয়ে ভরে রেখেছে। আমাদের মেশিনের ফুল স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে চলাচল করতেও কষ্ট হয়। আবার মাঝে মাঝে কচুরিপানার নিচে থাকা বাশ কাটের সাথে লেগে আমাদের মেশিনের পাংখা ভেঙ্গে যায়। আমরা আটকা পড়ে যাই এমনও দিন আছে দুইটা তিনটা পাংখা ভেঙ্গে গেছে আবার অন্যদিকে ঘুরে যেতে চাইলে খরচ বেশি হয় এবং মাঝে মাঝে ডাকাতদের কবলে পরি, আপনারা নিউজ করলে দুই চারদিন একটু ভালভাবে চলা যায় পরে যেই সেই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম এর সাথে কথা বললে জানান এই ঝোপগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এলাকার প্রভাবশালীরা এটার সাথে জড়িত থাকায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না তবে আমরা ইউএনও মহোদয় সহ এটা বন্ধের জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। নৌ পুলিশের কর্মকর্তা মোঃ আবু আব্দুল্লাহ এর সাথে কথা বললে জানান মেঘনা উপজেলা আশেপাশে শাখানদী অনেক এজন্য ঝোঁপও অনেক বিভিন্ন জায়গায় আমি প্রতিদিন ঝোপ ভেঙ্গে বাশ নিয়ে আসছি আজও মহিষার চর এলাকা থেকে ২০০ বাশ নিয়ে আসছি, আমার আগে এই পদক্ষেপ কেউ নেই নি তাই হয়তো একটু সময় লাগবে তবে এগুলো বন্ধের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রবীর কুমার রায় এর সাথে কথা বললে জানান আমরা অনেক সময়ে ঝোপের এলাকা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে আসছি কিন্তু দেখা যায় এই লোকগুলা দিনমজুর তাই মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে
এই ঝোপ বন্ধ করার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।