মেঘনার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইটের সলিং রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ চরমে 

কুমিল্লা জাতীয় মেঘনা উপজেলা

মোঃ আলাউদ্দিন:কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক ভাটেরচর মহাসড়কের ৮০ মিটার ব্রিজ সংযোগ থেকে দৌলত হোসেন সরকারি হাই স্কুল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারের ইটের সলিং রাস্তাটি ভেঙ্গে অকেজো হয়ে পরেছে। এতে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রামনগর, মহেশখোলা, জয়নগর, চরপাথালিয়া, দড়িকান্দি, সেননগর, দক্ষিনকান্দি, আলীপুর, হিজলতলীসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ চরমে।

জানা যায়, ইটের সলিং করা এই রাস্তাটি বর্তমানে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ইটগুলো উঠে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা যাতায়াতের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। ফলে অটোরিকশা, সিএনজি, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চালকদের জন্য এটি আরও বিপদজনক হয়ে উঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আতিক হাসান বলেন, এই রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় জনজীবনে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করা জরুরী। পাশাপাশি ভারি যানচলাচল বন্ধ করতে হবে, তা নাহলে পুরো রাস্তাটি স্থায়ীভাবে টেকানো সম্ভব না। এছাড়া আমি লক্ষ করেছি, বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইটের নিচের মাটি নরম হয়ে যায় এবং ইটগুলো আলগা হয়ে উঠে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।

এলাকার মোস্তফা বলেন, এই রাস্তাটি মাঝামাঝি হওয়ার কারণে প্রতিদিন উপজেলা সদর ও সেননগর বাজারে নিত্যনৈমিত্তিক কাজে যাতায়াত ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্রুত যাতায়াত করতে বেশ সুবিধা হতো, কিন্তু রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে গেছে। সেকারণে রোগী ও বয়স্ক মানুষদের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো পরিবহনে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া উপজেলা সদর বা ঢাকায় যেতে হলে আমাদেরকে ঘুরে যেতে হয়। দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন- আমি প্রায় তিন কিলোমিটার দূর থেকে বিদ্যালয়ে পড়তে আসি। আগে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে বাকি দেড় কিলোমিটার অটোরিকশা বা সিএনজি দিয়ে আসতাম। আর এখন পুরো রাস্তা পায়ে হেটে আসি। আমি ও আমার সহপাঠীদের প্রতিদিন পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোসাঃ সাবরীন মাহফুজ দৈনিক আজকের মেঘনাকে বলেন, এই রাস্তাটি টেকসইয়ের জন্য দুইপাশে পেলা সাইডিং ওয়াল দিয়ে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করবো।ইতিপূর্বে রাস্তার স্টিমেট করতে দেওয়া হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই এই রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.