( ১ম দৃশ্য)
নিয়তির নির্মমতার করুণ পরিহাস,
দুঃখ ও সহসা জাগে করিতে প্রকাশ।
বাপ-মা,ভাইওস্বামীর সংসার সবই ছিল তার,
অটেল সম্পদ খ্যাতি ও যশ ছিল বাপ দাদার।
এক মাত্র ভাই ফিরলনা আর বিয়ে করতে গিয়ে,
জানিনা কোন উছিলা ধরে জমদূত গেল নিয়ে।
পুত্র শোক সইতে নারি বাবা-মাও গেল শেষে,
নিঠুর ভুবন ত্যাগ করিয়া না ফেরার ঐ দেশে।
প্রথম স্বামী তাহার সাথে নিঠুর ছললনা করে,
উদাও হল কোথা যানি আর এলোনা ফিরে।
হাবাগোবা দ্বিতীয় স্বামী মরল অচিন রোগে,
সব হারিয়ে ছেলেটি নিয়ে দিন কাটে তার শোকে।
মেয়েও একটি হয়ে ছিলো তার সইলনা তা ভালে,
না ফুটিতে ফুল যেমন ঝরিল মুকুলে।
স্বামীর ভিটের নাইকো আশা নিল পরে পরে,
ছেলেটি আর বাপের ভিটা সম্ভল এ সংসারে।
(২য় দৃশ্য)
গ্রামের স্কুল মসজিদ কবরস্হান তার বাপের জায়গায় গড়া, তবুও তার এ দুরাবস্হায়, কেহ দেয়না সাড়া।
জসিমউদ্দিনের আসমানিরও কাটতনা এমন দিন,
আজ রহিছার জীবনাবস্হায় বাজে,যেই বিরহের বিন। দেখেনা চোখে শোনেনা কানে দেহে নাহি তার বল,
বিষাদ অতলে হাবু ঢুবু খায়- তাই দেখিনা নয়ন জল।
দেহের মতোই জড়া-জীর্ণ বসত ঘরটি তার,
সাক্ষী আজও পুড়ছিল তা একাত্তরে পাকহানাদার।
অনাহার অনিদ্রা আর সব হরানো শোকে,
যেন অর্ধমৃত মানুষিক রোগী মরছে ধূকে-ধূকে।
তার উপরেও করছে জুলুম এমন যারা আছে,
তারা বল কেমন মানুষ? প্রশ্ন সবার কাছে।