মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় রবিবার ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৩টি স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের পিকনিকে অংশগ্রহণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সরকারি ছুটির দিন থাকলেও রবিবার হঠাৎ করে এসব স্কুলগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সেমা পূজার জন্যও সারা বাংলাদেশে স্কুলগুলো ছুটি ছিল।
এদিকে স্থানীয় অভিভাবকরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষকরা যদি দায়িত্বের চেয়ে বিনোদনকে বেশি গুরুত্ব দেন তাহলে আমাদের সন্তানদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ কীভাবে নিরাপদ হবে? এভাবে স্কুল বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা দেওয়া অন্যায়! যারা শিক্ষার মানোন্নয়নের দায়িত্বে আছেন, তাদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।” তারা আরও বলেন, “তারা চাইলে রবিবার স্কুল বন্ধ না দিয়ে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার একসঙ্গে ছুটি কাটাতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা না করে শনিবার ও রবিবার কাটিয়েছে।”
মেঘনা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী মো. আনোয়ার হোসেন আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, “দেশের শিক্ষকরা বছরে ৩টি সরকারি ছুটি পায়। সে হিসেবে তারা চাইলে পুরো উপজেলায় একদিন ছুটি ঘোষণা করে ছুটি কাটাতে পারেন। এতে সরকারি কোনো বিধি-নিষেধ নেই।”
তবে স্থানীয়দের মতে, শিক্ষকদের এ ধরনের অবহেলা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা দাবি করেছেন, দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। স্থানীয়রা আশা করছেন, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে শিক্ষকরা আরও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করবেন।