মোঃ আলাউদ্দিন:কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় স্বৈরাচার আওয়ামিলীগের আশ্রয়—প্রশ্রয় দাতা ও ভারতের ‘র’ এজেন্ট আখ্যায়িত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ‘মেঘনা নাগরিক সমাজ’। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অপসারণের ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সী, সহ—সভাপতি আশরাফুল হক কুসুম ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাবুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপির মহিলা দলের সভানেত্রী মিলি আক্তার প্রমুখ।
জানা গেছে, অসাধারণ গুণের অধিকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেনু দাসকে এ উপজেলায় সকল শ্রেণি—পেশার মানুষ তাকে রাখতে চাচ্ছে। কারণ তিনি দক্ষ, বিচক্ষণ, মানবিক ও সদালাপী কর্মকর্তা।
উপস্থিত অনেকেই বলেন মেঘনা উপজেলার প্রধান সড়ক মেরামত করে জনতার সেবা নিশ্চিত করতে চাইলে এবং রাস্তা মেরামত এর জন্য উপকরণ সামগ্রী রোলার চাইলে তিনি তা দেন নি বলে জানান। পাশাপাশি তারা বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সলিম উল্লাহ সহ দলের একাধিক নেতা—কর্মীরা আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এজেন্ট বলা হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়ার মতো মন্তব্য। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমরা যতটুকু জানি বিসিএস—এ নিয়োগ পাওয়া থেকে শুরু করে চাকরি জীবনে বিভিন্নধাপে ডিজিএফআই ও এনএসআই তাদের নজরে রাখে। আর যদি এটাই হয় তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে তারা মাঠপর্যায়ে কীভাবে থাকে? এভাবে তো তাদের থাকার কথা না! মো. সলিম উল্লাহ আরও বলেন— আমাদের দল থেকে এ ধরনের মানববন্ধন করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ও বর্তমান সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কর্মী বলেন— মেঘনা নাগরিক সমাজ যদি ইউএনও’র অপসারণ চাইত তাহলে তারাই উপস্থিত থাকতো। কিন্তু এখানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ব্যানারে নাগরিক সমাজের নাম দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আছে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আপনারাও আছেন তদন্ত করে দেখেন আমি এই ধরনের কাজের সাথে জরিত কি না, রাস্তা রোলারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা যেইটা বলছে এইটা সঠিক নয় আমার কাছে আজ পর্যন্ত কেউ রোলার চাইতে আসে নাই।