মোঃ আলাউদ্দিন: কুমিল্লার মেঘনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বোরকা পড়ে প্রতিপক্ষ ময়না বেগমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন খিরারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
এজহার সূত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চন্দনপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের ইলিয়াস মোল্লার স্ত্রী ময়না বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় খিরারচক গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম প্রকাশ জুয়েল হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অনুসন্ধানে জানা যায় ময়না বেগম শহিদুল ইসলাম এর বোরকা ধরে টান মারিলে বোরকা খুলিয়া যায় যখন পুনরায় হত্যা করার জন্য হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তখন ময়না বেগম বাম হাত দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করিলে হাতুড়ির আঘাতে বাম হাতের আঙ্গুল ভাংঙ্গিয়া যায়। ময়না বেগম সজোরে চিৎকার দিলে দু-জনের মধ্যে দস্তাদস্তি অবস্থায় শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। আহতের চিৎকার শুনিয়া আশেপাশের লোকজন আসিয়া ময়না বেগমকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনায় ইলিয়াস মোল্লা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মেঘনা থানা প্রচলিত আইনে মামলা ধায়ের করেন। আসামীরা হলেন খিরারচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রকাশ জুয়েল শিবনগর গ্রামের মৃত. ফজর আলী ছেলে আব্দুল লতিফ, চান্দু মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন,
বাদী পক্ষের আইনজীবী আবির হোসেন সোহেল জানায় গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার কুমিল্লা আদালতে জামিন আনতে গেলে ১নং আসামী শহিদুল ইসলামকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। দুই ও তিন নং আসামী জামিনে রয়েছে। এ বিষয়ে ৩নং আসামী আক্তার হোসেন আমাদের প্রতিনিধিকে জানায় আমি ঘটনায় ছিলাম না পরে শুনতে পারছি হাতুড়ি দিয়ে নাকি বারি দেওয়ার কারনে নাকি মাথা ফেটে গেছে।