কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ ঝোঁপ নিরসনে যৌথ অভিযানের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ঝোঁপ নির্মাণে গাছ কাটার হিড়িক ফেলেছে ঝোঁপ নির্মাতারা। এদিকে অবৈধ ঝোঁপ নিরসনে যৌথ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ও উপজেলা মৎস কার্যালয়। গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মৈশ্যেরচর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে ৯টি বানা- ঝোঁপ অপসারণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায় চন্দনপুর, জয়পুর, তুলাতলী, রঘুনাথপুর, সাতানি, আলিপুর, সেননগর, রাধানগর, মুগারচর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝোঁপ নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চন্দনপুর এলাকার একজন ঝোঁপ নির্মাতার সাথে নদীতে অভিযান চলতেছে, অবৈধভাবে ঝোঁপ দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ, প্রশাসন ঝোঁপ দিতে দিবেনা এমন কথা বললে বলেন উনাদের কাজ অভিযান পরিচালনা করা আর আমাদের কার ঝোঁপ দেওয়া, উনাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য এমন দুই একটা অভিযান করবেই। এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এ.কে.এম আলমগীর জাহান বলেন, আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ ঝোঁপ নদীতে কেউ বসাতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ এমপি আব্দুল মজিদ আমি আপনাদের নেতা, আপনাদের প্রভু
তাছাড়া এই অবৈধ ঝোঁপ গুলো উচ্ছেদ করতে হলে বেশ সময় লাগবে। তবে অভিযান পরিচালনা করাকালীন বিভিন্নভাবে অনেক জায়গায় বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, যে যত বড় ক্ষমতাশালী হোক উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ ঝোঁপ নিরসনে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব, এখানে একটা বিষয় হল আগে আমাদের নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে ওসি ছিলেন না তাই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি, বর্তমানে আছেন আমরা সমন্বয় করেই আগাবো। এদিকে আরেকটা সমস্যা না বললেই নয় মেঘনা উপজেলার অধিকাংশ ঝোঁপ প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে ওনাদের এই অতি উৎসাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তা না হলে আমরা আইনগত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবো।