মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ১নং রাধানগর ইউনিয়নের পরিষদের সচিব আশীষ কুমার আচার্য্য (৪৫) ও ধর্ষণে সহায়তার জন্য ঝরিনা বেগম (৪২) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে মেঘনা থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৮ই ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মেঘনা থানা পুলিশ এই দুজনকে আটক করে।
ওই তরুণীর বাবা বলেন, প্রথমে আমি মনে করেছিলাম মেয়ের পেটে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে ঢাকা মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে যাই এবং পরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি সে ছয় মাসের গর্ভবতী। তখন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ইউপি সচিব তাকে ধর্ষণ করেছে। এদিকে ইউপি সচিব আশীষ কুমার আচার্য্য গত মঙ্গলবার হোমনা হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে দেয়। ওই তরুণী বলেন, তালতুলি গ্রামের জরিনা আক্তার পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়নের পরিষদের সচিবের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। আমি গর্ভবতী হওয়ার পর জরিনা ও ইউপি সচিব কে জানিয়েছিলাম। জরিনা ওষুধ খেয়ে নষ্ট করে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। রাধানগর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান (মজিব) বলেন, এই বিষয়ে জানার পরের দিন সকালে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম ঘটনা জানার জন্য। পরে জানতে পারলাম সবই সত্যি। ধর্ষণকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানাই। মেঘনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ সাথে সাথেই আমরা অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছি, এবং নষ্ট করে পুতে ফেলা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উঠানো হবে।