পুরুষশূন্য শিবনগর গ্রাম।
মোঃ শহিদুজ্জামান রনি মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লা মেঘনায় ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার চন্দনপুর শিবনগর গ্রামে স্থানীয় মোফাজ্জলের দোকানের সামনে রাস্তার উপর এ মারামারির ঘটনা ঘটে। জানা যায় একই গ্রামের কফিল উদ্দিন এর ছেলে মোঃ জাকির হোসেন গ্রুপ ও ধনু মিয়ার ছেলে আব্দুল গফুর গ্রুপের মধ্যে খেড়ের (খড়) উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ বেআইনিভাবে জনতাাবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, ইট পাটকেল, লাঠি সোটা, হকিস্টিক, টেটা, বল্লাম নিয়া দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। খবর শুনে তাৎক্ষণিক মেঘনা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা না করার জন্য দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দু—গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষে আহত হন ২ পুলিশ সদস্য ও নারীসহ ৭ জন আহত হন। আহত ২ কনস্টেবল আখতারুজ্জামান ও আলী আজমকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আলী আজমকে রাজার বাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার করেন এবং আখতারুজ্জামানকে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রদান করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় চন্দনপুর বাজার এলাকায় বাড়তি নজরদারির জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে শিবনগর গ্রাম। এবিষয়ে এস আই সাইফুল বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলার আসামি গফুর বলেন পুলিশ আমাদের মারামারির মধ্যে আহত হয়নি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা মাইল দূরে পুলিশ আহত হয় । এখন এই মামলায় অজ্ঞাত ১০০/১৫০ আসামি এই আতঙ্কে আমাদের অধিকাংশ পুরুষ গ্রাম ছাড়া এই সুযোগে যদি কোন দুষ্কৃতিকারী কোন অঘটন ঘটায় এর দায়ভার কে নিবে।
এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানার সাথে সাথে আমিসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং আমার পুলিশ সদস্যদের মৌখিকভাবে নির্দেশ প্রদান করি, যেন সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরমধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়। আইনি কাজে বাধা প্রদানে এবং এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার রুজ করা হয়েছে।