ডেস্ক রিপোর্টঃঃ গত ২৭-১০-২০১৯ ইংরেজি তারিখে ফারুক সরকার আব্বাসির বিরুদ্ধে একাংশ মেম্বার ও জনগণ মিলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন,
তারই প্রতিবাদে আজ ভাওর খোলা ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যানের পক্ষে মেঘনা উপজেলা ৮ মিটার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনের বক্তব্যে জমির মালিকরা বলেন আমরা আমাদের জমি দিয়ে ওনার কাছ থেকে যা টাকা নিছি তাতে করে আমাদের ফসল যা হয় তার থেকে আমরা বেশি লাভবান,
ঐখানে অনেকেই যারা জমির মালিক নাই মালিক সাজিয়ে উনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,
মানববন্ধন শেষে ফারুক সরকার আব্বাসীর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক সরকার আব্বাসী লিখিত অভিযোগ গুলো সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহার লোভী সন্ত্রাসী বলেছেন তাহা মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
২ নং প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সহি স্বাক্ষর ক্যাডার দিয়ে জানমালের হুমকি ৯ নং ওয়ার্ডে কাজ হলো ৭৫ পার্সেন্ট ৬ নং ওয়ার্ডের বরাদ্দ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ,
হোল্ডিং ট্যাক্স ট্রেড লাইসেন্সের টাকা নেওয়া পরিষদের সম্মানিত সদস্যদের বক্তব্যের নিন্দা জানাই,
আমার সকল অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত চলছে আমি আমার সমস্ত কাগজপত্র সরকারের অফিসগুলোতে জমা দিয়েছি,।
আরো বলতে চাই যে তদন্ত চলাকালে কোন অভিযোগের সমালোচনা করতে পারেনা আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের মিথ্যা ষড়যন্ত্রের প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি জানাচ্ছি।
৩ নং যে অভিযোগ করেছে তার জবাব হল লক্ষ্মী পুর মৌজা প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষের যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কোন একজন প্রকৃত জমির মালিক কোথাও কোনো অভিযোগ করেন নাই,
প্রকৃত সত্য এই যে আমি জমির মালিকদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমের জন্য টাকা দিয়ে মাছ চাষ করি,
তারা স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে নিজের লাভের কথা চিন্তা করে আমাকে মাছের প্রজেক্ট এর জমির বাৎসরিক পর্তনী হিসাবে দিয়েছে।
বিভিন্ন সনদে অতিরিক্ত ফি আদায় দশজন চৌকিদার আমার বিভিন্ন ভয়-ভীতি কারণে অত্যাচারে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন,
সোনারগাঁ থানা ট্রিপল মার্ডার মামলায় মোবারক হোসেন লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, জামাত নেতা সিরাজ, বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে, উক্ত ঘটনার দিন মেঘনা উপজেলা কর্মকর্তার সাথে সরকারি কাজে বড় ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম সরকার গঠনে ছিলাম,
উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রত্যায়ন এর মাধ্যমে সত্যতা প্রমাণ করেছেন উক্ত মামলাটি বর্তমানে চলমান আশাকরি মামলা হতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো।
আমি তিনবারের জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমার ইউনিয়নে কোন চাঁদাবাজ জুলুমবাজ দুর্নীতিবাজ মাদক ব্যবসায়ীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় নাই,
এবং ভবিষ্যতেও পাবে না,
আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার জনগণের নিকট আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য,
এ ধরণের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দাখিল করে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করে,
আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই তাহলে মোবারক হোসেন লিটন কে কেন মেঘনার ভূমি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী বলা হয়।
পরিশেষে বলতে চাই আমার বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আমাকেও আমার পরিবারকে মান সম্মান ক্ষুন্ন করা এবং আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য আগামী নির্বাচনে আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানাই ও বিচার চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাবুল মেম্বার মনির মেম্বার রমজান আলী মাতব্বর তোতা মিয়া আরো অনেকেই।