মোঃ শহিদুজ্জামান রনি মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লা মেঘনায় কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শাহে আলম বিরুদ্ধে, উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে, ক্যাশমেমো ও স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা বিল উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিভিন্ন কৃষি পণ্য কেনার বিষয় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের স্যারের ডিলার “মেসার্স বন্ধন এন্টারপ্রাইজ এর নামে তিনটি ক্যাশমেমো ব্যবহার করে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ে বিল জমা দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। বিষয়টি জানার পর ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার “মেসার্স বন্ধন এন্টারপ্রাইজ”র স্বত্বাধিকারী দিদার আহম্মেদ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেন এই মেমো গুলো ও স্বাক্ষর তার নয় এর কারনে বিল পরিশোধ না করতে অনুরোধ করেন। তিনি একই সঙ্গে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও‘র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দিদার আহম্মেদ বলেন ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় আমার ব্যক্তিগত কাজে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ে গেলে হিসাব রক্ষণ অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসের একটা বিল যাচাই বাছাই করতেছে। তখন আমার চোখে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনটি ক্যাশমেমো দেখতে পাই যাহাতে আমার জাল স্বাক্ষর দিয়ে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার বিল তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আমি গত এক বছরের মধ্যে কৃষি অফিসের কাছে কোন প্রকার কৃষি পণ্য বিক্রি করি নাই। এই ধরনের জালিয়াতির কারণে ভবিষ্যতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি অডিট আপত্তির মুখে পড়ে মামলা মোকদ্দমার সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য আমি বিলটি না দেওয়ার জন্য উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার কে অনুরোধ করি এবং একই সঙ্গে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও স্যারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার দাবি করেছি।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিলার দিদার আহম্মেদ কৃষি অফিসের তিনটি বিলের মেমো ও স্বাক্ষর তার নয় বলে দাবি করেছেন এ কারণে বিলটি কৃষি অফিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শাহে আলম এর কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি শুনেছি ইউএনও অফিসে একটা অভিযোগ হয়েছে, কৃষিজীবীদের মধ্যে প্রণোদনা দেওয়ার কাজ চলছে, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা বিল তৈরি করে তার কাছে জমা দিলে না দেখেই সই করেছেন । উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন আমি এ বিষয়ে অবগত হয়েছি এবং আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।