গত শুক্রবার বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ভাওর খোলা গ্রামে। এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান গত ইউপি নির্বাচনে ফারুক আব্বাসীর সাথে প্রতিদন্ধী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন নিহতের দেবর সিরাজুল ইসলাম, নির্বাচনে ফারুক সরকার আব্বাসী বিজয়ী হওয়ার পর সন্ত্রাসী হামলা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে এই পরিবারকে, সিরাজুল ইসলাম এর চাচাতো ভাই দিলবরের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এই পরিবার কিন্তু সামনে ইউপি নির্বাচন সিরাজের পরিবার বাড়িতে আসার বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে পারছেন না ফারুক সরকার আব্বাসী, একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে আব্বাসীর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলাম এর ঘরে হামলা চালায় এ সময় নাজমা আক্তার(৫৫), মোঃ সালাম সরকার(৬৫) ফারুক শিকদার (৫০) মুকবিল হোসেন(৪৫) ৪ জনকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা, গুরুতর আহত অবস্থায় মেঘনা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা আক্তার (৫৫) কে মৃত ঘোষণা করেন, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ এর দিকনির্দেশনায় হোমনা সার্কেল মোঃ ফজলুল করিম এর নেতৃত্বে মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ, অফিসার, ফোর্স রাত্রে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে, চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসী, খোকন আব্বাসী, ইমরান হোসেন টিটু,ইয়ার আব্বাসীর বাড়িতে তল্লাশী করে ওদের পাওয়া না গেলেও উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ দেশিও অস্ত্র,কান্তা,ভল্লম, ছোরা,চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, টেটা, রামদা, রড সহ অনেক কিছু। মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ বলেন ; চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসির নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি, এ ঘটনায় জড়িতরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে তাদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রেখেছি, একটি হত্যা মামলা হয়েছে , এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, বিশেষ নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়ন করা হয়েছে,লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে। চেয়ারম্যান ফারুক সরকার আব্বাসির মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।