কুমিল্লার মেঘনায় মানিকারচর গ্রামে শাক তুলতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছর বয়সের এক কিশোরী। জানা যায় গত ০৬-০২-২০২১ ইং বিকাল চার ঘটিকার সময়, ওই কিশোরী তার আট বছরের ভাগ্নিকে নিয়ে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে শাক তুলতে যায়, পথে ওত পেতে থাকা মানিকারচর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হৃদয় (২১) জিল্লু মিয়ার ভাগিনা হৃদয় হোসেন (২০) ও একই গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে সম্রাট (১৮) তাদের পথ রোধ করে এবং সম্রাট কিশোরীর ভাগ্নির মুখ চেপে ধরে দূরে নিয়ে যায়, অন্য দুই জন কিশোরের মুখে গামছা বেঁধে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, কিশোরীর চিৎকার শুনে কিশোরীর মা ও বড় বোন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়, কিশোরীর মা ছালেহা বেগম সাংবাদিকদের জানান সন্ধ্যার পর মেয়ের বাবা বাড়িতে আসলে ঘটনা জানানোর পর সে এলাকার মেম্বার সহ গণ্যমান্য লোকদের জানালে, তারা বাড়িতে বসে মীমাংসা করার কথা বলে, পরদিন দিপু মেম্বার ১০ হাজার টাকায় মীমাংসার কথা বললে, আমরা আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে থানার দ্বারস্থ হই, তিনি আরো জানান আমরা গরীব অসহায়, আমার স্বামী অসুস্থ অভাবের সংসার চালানোর জন্য আমি ২০০ টাকা রোজে প্রতিদিন মাটি কাটার লেবার হিসেবে কাজে যাই, এর আগেও অনেকবার ওরা রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো, গরিব বলে মান সন্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি, আমার মেয়ের এই সর্বনাশের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি একটি মামলা করেন। দিপু মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মেয়েটা ধর্ষণ হয়েছে হয়েছে এটা সত্য ১০ হাজার টাকা নিয়ে মীমাংসা করার কথা সঠিক নয়, আমি এই মামলার তিন নাম্বার আসামি সম্রাট কে ধরিয়ে দিয়েছি। মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ এর সাথে কথা বললে জানান মামলা হওয়ার সাথে সাথে আমরা আসামি সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছি সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে তাকে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরন করেছি ও বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা পাঠিয়েছি ধর্ষণের আলামত সহ।