মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার ঠেকাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করছে মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা
বাজার থানা পুলিশ।গত কয়েক দিন ধরে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইনানুগ শাস্তির বিষয় উল্লেখ করে উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক হারে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হলেও তাতে প্রবাস ফেরত স্থানীয়রা কর্ণপাত না করায় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মাঠে নামে পুলিশ। প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের তালিকা ধরে ধরে শনিবার সকাল থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে ২১২ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন মুরাদনগর থানা পুলিশ।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, আমাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২১২ জন প্রবাসী দেশে এসেছে। এর মধ্যে সকলকেই হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কিছু কিছু প্রবাসী হোম কোয়ারান্টাইন না মেনে বাহিরে ঘুরাঘুরির চেষ্টা করে। আমরা যখনই সংবাদ পাই কোন প্রবাসী হোম কোয়ারান্টাইন না মেনে বাড়ী থেকে বের হয়েছে তখনই মুরাদনগর থানা পুলিশ সেখানে যাচ্ছে এবং তার হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করে তাকে পরামর্শ দিচ্ছে। মুরাদনগর থানার পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শুধু শাস্তির ভয় দেখিয়ে মানুষকে সঠিক লাইনে আনা অনেক ক্ষেত্রেই কষ্টকর। তাই এ ক্ষেত্রে নিজেরাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখন পর্যন্ত ১২৮ জনকে হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করেছি। তথ্য সংগ্রহের কাজ এখনো চলছে। প্রবাসী ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের অপর সদস্য ও প্রতিবেশীদের করোনার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, আমরা গত ১২ মার্চ থেকে জোরালোভাবে করুণা ভাইরাসের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে মাঠে নেমেছি। বিভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া তথ্যমতে এখন পর্যন্ত মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় ৪০০ জন প্রবাসীর তথ্য পাওয়া গেছে এরমধ্যে সিংহভাগ মানুষই কোয়ারান্টাইন মানছে। কিছু কিছু প্রবাসী যারা কোয়ারান্টাইনের শর্ত ভঙ্গ করে বাহির এসেছে আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্নভাবে তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইন মেন্টেন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।