প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৩:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৯, ২০২০, ৯:১২ এ.এম
মুরাদনগরে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব থানকুনি পাতায় মুক্তি!
মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ থানকুনি পাতা। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, আদাগুনগুনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, নামে ডাকা হয়। এর ল্যাটিন নাম পবহঃবষষধ ধপরধঃরপধ। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। তবে এই থানকুনি পাতা নিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চলছে গুজবের ছড়াছড়ি।
উপজেলার সোনাকান্দা দরবার শরীফের নাম ভাঙ্গিয়ে বলা হচ্ছে তিনটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে বাঁচা জাবে করোনা ভাইরাস থেকে। এ কথা শুনে বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলা সদর ও আশপাশের গ্রামাঞ্চলে চলছে থানকুনি পাতা খাওয়ার প্রতিযোগিতা। অথচ থানকুনি পাতা খাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না সোনাকান্দা দরবার শরীফের দায়ীত্ব প্রাপ্তরা। থানকুনি পাতা কতটা কার্যকর করোনা ভাইরাস নিরসনে এ নিয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এটি একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি এই থানকুনি পাতার রস পেটের সমস্যা, বাচ্চাদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, নিরাময়ে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন গুজব।
এবিষয়ে সচেতন মহল বলছে, এধরণের গুজবের বিরুদ্ধে যথাযথ সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে। পরবর্তীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তারা চিকিৎসা গ্রহন করতে চাইবে না। কারণ তাদের ধারনা থাকবে আমিতো থানকুনি পাতা খেয়ে নিয়েছি। অপর দিকে সমাজের কিছু অসাধু লোক এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে সাধারণ মানুষে সাথে প্রতারণা করতে চাইবে।
dainikajkermeghna.com