ফেনীতে নিখোঁজের সাতদিন পর মোশাররফ হোসেন সজিব নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন-পিবিআই। একটি মুরগীর খামারের মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে খামারের মালিক হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
স্বজনরা জানান, ফেনী সদরের গজারিয়াকান্দি গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মোশারফ হোসেন সজীবকে ১২ আগস্ট ঈদের দিন, রাত ১০টার দিকে, তার বন্ধু সজীব বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ না পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজের ৮দিন পর মঙ্গলবার রাতে পিবিআই ঐ স্কুলছাত্রের বন্ধু সজীবকে আটক করে। সে জানায়, ঈদের রাতে মোশারফ হোসেন সজীবসহ তারা তিন বন্ধু পাশের সফিয়াবাদ গ্রামের মানিক হুজুরের খামারে মুরগি আনতে যায়। এসময় খামার মালিক লাঠি নিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে যায় তারা। এরপর থেকে মোশারফ হোসেন সজীবকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার কথার সূত্র ধরে খামার মালিক, মানিক হুজুরকে আটকের পর সে জানায়, পালিয়ে যাবার সময় খামারের বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে সজীব মারা গেলে তার লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবে, স্বজনদের দাবি, সজীবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পিবিআইর ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
কাতার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ২ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সজীব ছিল দ্বিতীয়।