মুন্সীগঞ্জে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তে হওয়ায় দুটি গ্রাম ও ৯৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগও লকডাউন করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হওয়ায় অধিকাংশ চিকিৎসক হোমকোয়ারেন্টিনে থাকায় সীমিত আকারে চলছে সেবা কার্যক্রম।
আত্রান্ত ১০ জনের মধ্যে শুক্রবার মধ্য রাতে ৭ জন ও শনিবার সকালে আরও ৩ জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল ১৬ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্য থেকে শুক্রবার রাতে ৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এছাড়া ৮ এপ্রিল সংগ্রহ করা ২১ জনের সোয়াব পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এই ২১ জন থেকে শনিবার ৩ জনের পজেটিভ নিউজ এসেছে। সিভিল সার্জন আরও বলেন,আক্রান্তদের অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জের লিঙ্কে সংক্রমিত বলে জানা যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা লকডাউন করার ব্যাপারে এই রিপোর্ট লেখার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক চলছিল।
উপজেলা আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ২ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ রয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মধ্যবয়সী। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারীর বয়স ৭০ বছর। লৌহজং উপজেলা ছাড়া জেলার বাকী পাঁচটি উপজেলায়ই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১, টঙ্গীবাড়িতে ৪, গজারিয়ায় ৩, শ্রীনগরে ১ ও সিরাজদিখানে ১ জন রয়েছেন।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদি জানান, করোনা আক্রান্ত গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দুই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (সেকমো) বাসা অর্থ্যাৎ হাসপাতালটির কোলনী এবং অপর আরেক রোগীর লক্ষীপুরা পুরো গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গজারিয়ায় আক্রান্ত তিন জনকেই অ্যাম্বুলেন্সে করে শনিবার সকালে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার জানান, উপজেলার চার রোগীর সংম্পর্শে আসা ৩৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক আগে থেকেই কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি। বাকী তিনজন এখনও বাড়িতে রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন, আক্রান্ত একজনের বাড়িসহ আশপাশের ২০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এখনও বাড়িতে রয়েছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফিকুন নাহার জানিয়েছেন, আক্রান্তের বাড়িসহ আবিরপাড়া গ্রামের আশপাশের ২৬ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতেই আছেন।
শ্রীনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা আক্তার জানান, ফৈনপুর গ্রামটি সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে। রোগীকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে। আইইডিসিআর জানিয়েছেন পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যাবে।
শেষ খবর অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ জেলা লকডাউন করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক চলছিল।