মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর থানা ভবনের প্রবেশ দ্বারে ও ডিউটি অফিসারের রুমে ব্যতিক্রমী সব সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে মূল প্রবেশদ্বারে লেখা আছে ‘মুরাদনগর থানায় জিডি অথবা মামলা করতে কোন টাকা লাগে না’ আর ডিউটি অফিসারের কক্ষে লেখা আছে ‘এখানে সকলের বিনা টাকায় জিডি/অভিযোগ লিখে দিয়ে সহায়তা করা হয়’।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লা পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগকে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। রবিবার সকালে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নহল গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২৭) এসেছেন ৫ বছরের ছেলে তাফসির কে খুজে পাচ্ছেনা আইনি সহায়তার জন্য। তাকে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার নিজেই অভিযোগ লিখে দিয়ে ইমার্জেন্সি অফিসার এসআই মোঃ বাদলকে পাঠিয়ে শুশুন্ডা গ্রাম থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করলেন। তাও আবার মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যেই।
এ জন্য ওই প্রবাসির স্ত্রী তানিয়া আক্তার পুলিশের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ আমার কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়নি। আমার অভিযোগ তারাই লিখে দিয়েছে। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের শুদ্ধাচার এর অংশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ জন সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছে। আমাদের মূল টার্গেট পূর্ণাঙ্গ জন সন্তুষ্টি অর্জন করা। আমরা মুরাদনগর থানার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার টাকা ছাড়াই জনগণকে সেবা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও দিতে চাই।
ওই উপজেলার বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার যে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অপরদিকে আমাদের ওসি সাহেবও একজন দক্ষ ও মানবিক অফিসার এই নোটিশ ছাড়াও তিনি যোগদানের পর থেকে জিডি বা মামলা বাবদ টাকা নিতে শুনিনি। উপজেলা সদর ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, ওসি একেএম মনজুর আলম মুরাদনগর থানায় যোগদানের পরে মাদক, বাল্যবিয়ে, জুয়া, ইভটিজিং প্রতিরোধে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। তার কর্মদক্ষতায় এ উপজেলার অপরাধমুলক কর্মকান্ড নেই বললেই চলে।