মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা...
আজ সাংবাদিকরা বড় অসুহায়, বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকরা তাদের নেই বেতন ভাতা নেই পেনশন তবুও তারা দেশের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে মানুষের জন্য।
যখন মহামারি করোনায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী মাঠে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে, তাদের দিনের শেষে পরিবারে জন্য আপনার তরফ থেকে পাবার আশা আছে। কিন্তু নেই সুধু সাংবাদিকদের।
করোনায় আক্রান্ত হবে জেনেও মাঠে থেকেই সাংবাদিক'রা ১৬ কোটি মানুষকে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাচ্ছে। মহামারিতে প্রশাসনের পাশে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে গণমাধ্যমকর্মী'রা।
অনেকেই নিজের খেয়ে বনের মহিশ তারায়। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সরকারের কোন কর্মপরিকল্পনা আছে কি না সেটা জানতে চাই।
করোনায় গণমাধ্যমকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। প্রশাসনের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও ঘাটতি রয়েছে সাংবাদিকদের বেলায়। গণমাধ্যমকর্মীরা যদি রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ হয়ে থাকে তাহলে তারা আজ অবহেলিত কেন?
গণমাধ্যমকর্মীরা যদি সংবাদের পেছনে না ছুটে তাহলে দেশে কী হচ্ছে, কোথায় কী ঘটছে তা রয়ে যাবে সব অন্তরায়। এক কথায় বলা চলে দেশ অচলের ঘাটতি পূরণ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু ভেবে দেখুন দেশের বর্তমান করুণ পরিস্থিতে রাজধানী সহ সারাদেশে অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী খবরের পেছনে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন তারা করোনার ঝুঁকিতে আছেন। আজ তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার পরিবারের দায়ভার কি রাষ্ট্রে নেবে?
এ সময়ে কেউ কারো খবর নিবে না।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।
দেশের ক্লান্তিলগ্নে সুনামধন্য অনেক মিডিয়া থেকে অনেকের চাকরিও চলে গেছে আবার অনেকেই করোনার ভয়ে গ্রামে চলে গেছেন কেউ কেউ আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে অনেকেই করোনা আক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নিতে চাচ্ছে না দায়ভার।
ঝুঁকিপূর্ণ পেশা জেনেও গণমাধ্যমকর্মীরা জয় করছে এই পৃথিবী।
আসুন আমরা সবাই ঘরে থাকি পরিবারকে নিরাপদ রাখি, ভালো রাখি বাংলাদেশকেও।
লিটন সরকার বাদল
দি এশিয়া এইজ,
দাউদকান্দি- মেঘনা ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
দৈনিক দেশকাল,
দাউদকান্দি- মেঘনা ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
সভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)
কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখা।
স্টাফ রিপোর্টার,
অন-লাইন নিউজ দৈনিক আজকের মেঘনা।