প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:২৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৮, ২০২০, ১:৩৬ পি.এম
ভোলার পশ্চিম ইলিশায় এক ঘরের সবাই প্রতিবন্ধী ভিক্ষায় কাটে দিন।
ভোলা সদর উপজেলার ০৩ নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পশ্চিম পাংগাশিয়া গ্রামে এক ঘরের সবাই প্রতিবন্ধী। বলতেছিলাম পাংগাশিয়া গ্রামের ভিক্ষুক আবুল কালামের পরিবারের কথা।
(৩১ মার্চ) ২০ইং সরেজমিনে দেখা যায়,ভিক্ষুক আবুল কালাম ভিক্ষার জন্য পার্শবর্তী তুলাতুলি নামক স্হানীয় বাজারে যায়। ঘরে গিয়ে দেখা মিলে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে ইয়ানুর বেগম টুনি (২৫) ও তার স্ত্রী শামসুন নাহারের (৫০) সঙ্গে।
তাদের সাথে কথা বলে যানা যায়,তারা নিজেরা পরিবারের সদস্য তিন জন। আবুল কালামের স্ত্রী প্রতিবন্ধী শামসুন নাহার জানান, আমি নিজে শ্রবণ প্রতিবন্ধী।পাইনা কোনো প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্কভাতা । মেয়ে ইয়ানুর বেগম টুনি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়।তবে আমার স্বামী আবুল কালাম শারীরিক প্রতিবন্ধী।
কিভাবে সংসার চলে জানতে চাইলে, ভিক্ষুক আবুল কালামের স্ত্রী বলেন,আল্লায় চালায়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী হয়েও বিভিন্ন বাজারে, রাস্তায়, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হেটে হেটে ভিক্ষা করে আমাদের সংসার চালায়।
তিনি আরো জানান, আমার স্বামী কোনো প্রতিবন্ধীভাতা, বয়স্কভাতা ও পায় না। আমরা সরকারী আর কোনো সুবিধা পাইনা। আমরা রাস্তার পাশে থাকি। নিজেদের কোনো জমিজমা নেই।
সরকারী অনেক ঘর দেয় শুনি, কিন্তু আমরা পাইনা।দেখেন আমাদের ঘরটা কেমন!! সামান্য বাতাশেই যেন ঘরটা পড়ে যাবে।দুচাল বিশিষ্ট ঘর।
তিনি জানান, তার স্বামী আগে ভিক্ষা করে মোটামুটি কিছু টাকা পেলে চাল-ডাল আনতেন। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারনে দোকান-পাট বন্ধ থাকায় ভিক্ষা করতে পারছেন না।তাই সংসার চলতে কষ্ট হয়।
পার্শবর্তী এক মহিলা জানান, ভিক্ষুক আবুল কালামের সংসার চলে খুব কষ্টে। সব ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও তাদের কপালে জোটেনি বিদ্যুৎতের ছায়া। আমরা তাদেরকে যতোটুকু পারি বিভিন্ন কিছু দিয়ে সাহায্য করি।
যদি সরকার বা বিত্তবানরা তাদের দিকে তাকায় তাহলে অনেক ভালো হতো।
স্হানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃসেলিম হাওলাদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান তাদের ব্যপারে আমি জেনেছি। এবং তাদেরকে সরকারী অর্থায়নে সাহায্যদান করা হবে।
dainikajkermeghna.com