ভেজাল ওষুধ বিক্রেতাদের অন্তত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত বলে মনে করেন উচ্চ আদালত। এছাড়া একই ফার্মেসিতে একাধিকবার মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় কমিশন খেয়ে চিকিৎসকদের অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করারও সমালোচনা করেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় এ আদেশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি হাইকোর্টকে জানায় ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা আদালতকে জানায়, দু’মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ওষুধ ধ্বংস ও ৫ শতাধিক মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হয় গণমাধ্যমের এমন রিপোর্টের আলোকে গত জুনে রিট করে একটি বেসরকারি সংগঠন। ওই সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল ওষুধ জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
এ সময় আদালত জানান, শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না। বন্ধ করতে হবে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে শাস্তির মাধ্যমে।
ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, এরইমধ্যে যাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে, তারা যদি আবার একই কাজ করে তখন তাদের বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা দায়েরের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কমিশন খেয়ে ডাক্তারদের অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করার সমালোচনাও করেন উচ্চ আদালত।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক বলেন, কোম্পানি প্রমোশনের জন্য কিছু কিছু কোম্পানি কমিশন দেয়। কমিশন দেয় না এটা বললে ভুল হবে। বড় বড় কোম্পানি কিন্তু কমিশন দিচ্ছে না বরং যারা ছোট আছে তারা দিচ্ছে। সুতরাং আমরা চেয়েছি কমিশনের ওপর প্রেসক্রাইব না করে গুণাগুণ দেখে যেন করা হয়।
ওষুধের মোড়কে স্পষ্ট করে বাংলায় মেয়াদোত্তীর্ণেরর তারিখ লেখার অগ্রগতি এবং ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জানাতে বলা হয়েছে।