যাত্রা শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। আর তাই তার উপর নজরদারিও বাড়াতে হয়েছে অনেকখানি। স্বচ্ছতা বজায় রাখা এখন ফেসবুকের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। যে কারণে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানি।
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বা কোনও পেজ তৈরি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা অনেকেই করে। কিন্তু সেসব পেজ বা বিজ্ঞাপন যাতে অন্য ইউজারের ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকেও সতর্ক থাকতে হয় ফেসবুককে। আর সে জন্যই বেশ কয়েকজনকে নিযুক্ত করেছে তারা। যারা প্রতিনিয়ত নজর রাখবেন এই ভারচুয়াল দুনিয়ায় কোনও ভুয়ো পেজ বা বিজ্ঞাপনের আবির্ভাব ঘটছে কি না।
এসবের মধ্যে ইউজারদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপনের ভিড়ে দু-একটি ফেসবুক কর্মীদের নজর এড়িয়ে যেতেই পারে। তাই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সেই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। কীভাবে? বিজ্ঞাপনের ঠিক উপরে ডান দিকে তিন ডট চিহ্নের মেনু ভেসে ওঠে। সেটি ট্যাপ করলেই রিপোর্ট অ্যাড অপশন আসে। তার মাধ্যমেই কোনও বিজ্ঞাপনের বিষয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।
এখানেই শেষ নয়। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার ফলোয়ার বিশিষ্ট কোনও পেজ চালানোর দায়িত্বে রয়েছে তাদের অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফেসবুকের প্রক্রিয়া ও নিয়মকানুন মেনে না চললে সেসব পেজে আর কিছুই পোস্ট করা সম্ভব হবে না। এতে সহজেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট, পেজ বা বিজ্ঞাপন চিহ্নিত করা যাবে। ২০১৬-র আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে ফেসবুক। জুকারবার্গের কোম্পানির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তারপর থেকে নিজেদের ভাবমূর্তি বদলে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ফেসবুক। দেশের লোকসভা নির্বাচনে তাই এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারেনি।সূত্র ত্তেফাক