পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে আগামী বৌদ্ধ পূর্ণিমায় জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) ফিদায়েঁ কায়দায় হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে আজ শনিবার (১১ মে) আইবি’র রিপোর্টে এ সতর্কতার কথা জানা গেছে বলে দাবি করা হয়।
জি-নিউজ জানিয়েছে, আইবি রিপোর্টের ভিত্তিতে দুই বাংলার ধর্মীয় স্থানগুলিতে, বিশেষত হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে এ হামলা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যাতেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিস-প্রশাসনকে এ নিয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।
রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে জি-নিউজ বলছে, সতর্কবার্তা পেয়ে এরমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা সতর্কবার্তার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে বুদ্ধপূর্ণিমায় যেহেতু প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়, তাই সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। সুরক্ষা বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য মন্দিরেও।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অথবা পশ্চিমবঙ্গে নারী জঙ্গিদের সামনে রেখে নাশকতার ছককে বাস্তবায়িত করা হতে পারে। নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, বুদ্ধপূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা অন্য কোনো মন্দিরে ভক্ত সেজে ঢুকে হামলা চালানো হতে পারে। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়াতে গর্ভবতী নারী সেজে (ফিদায়েঁ কায়দায়) পেটের মধ্যে বিস্ফোরক লুকিয়ে মন্দিরে ঢোকার মতো নতুন কৌশল জঙ্গিরা নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ‘শিগগিরই আসছি’ বলে বাংলায় একটি পোস্টার পোস্ট করেছিল আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাহলে কী শ্রীলঙ্কার পর এবার পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশে হামলার ছক রয়েছে আইএসের?
আগামী ১৮ মে ভারত-বাংলাদেশে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। সূত্রে: সময় টিভি