ইমরান হুসাইন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি,
শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ শেষ দিন, শুভ বিজয়া দশমী। আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের সমাপ্তি ঘটলো আজ মঙ্গলবার।
নানা ধর্মীয় আচারের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার মহানবমী উদ্যাপিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিন সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে বিহিত পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা। দুর্গতিনাশিনী দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে মনোজগতের আসুরিক প্রবৃত্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তি জাগরণে প্রার্থনা জানানো হয়।
মণ্ডপে প্রিয়জন বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। অন্যদিনের তুলনায় ক্যাম্পাস ছিলো আরো সৌন্দর্য মন্ডিত। তাঁদের পরনে ছিল নতুন পোশাক। দেবীর আশীর্বাদ কামনা করে কায়মনে চলে প্রার্থনা। দেবীর সঙ্গে সেলফি তোলাও চলে সমানতালে। মণ্ডপ ছেড়ে যাওয়ার আগে ভক্তদের কেউ কেউ প্রণামীও দেন।
অন্যদিনের মতো ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ ও কাঁসরের ধ্বনিতে মুখরিত ছিল মণ্ডপ। , আলাদা মাত্রা দিয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।
উপস্থিত সকল সনাতন শিক্ষার্থীদের মাঝে লক্ষ্য করা যায় অন্য রকম অনুভূতি। তারা মেতে উঠেছিলো ছিলো রংয়ের খেলাতে।একে ওপরকে মাতিয়ে নিচ্ছিলো সিদুর এর ছোয়ায়।
অনেকেরই আবার দেখা যায় মন খারাপ এর চিত্র।জিজ্ঞাসে তারা বলেন ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ তেমনি যাবার সময় ও খারাপ লাগে।পরবর্তীতে দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুজা কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলীর অংশগ্রহণের মাধ্যামে বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে।