![](https://dainikajkermeghna.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বুরকিনা ফাসো’র উত্তর, সাহেল এবং পূর্ব-এই তিনটি অঞ্চলে ২ হাজার ৮৬৯টি স্কুলের মধ্যে এক হাজার ১১১টি স্কুলই বন্ধ হয়ে গেছে।
একের পর এক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেড় লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বুরকিনা ফাসোতে শতকরা ৫৮ ভাগ শিশু প্রাথমিক স্কুল শেষ করতে পেরেছিল ২০১৬ সালে। যে দেশে ৪২ ভাগ শিশুই প্রাথমিক স্কুল শেষ করতে পারে না, সেই দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে থাকলে আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
আরো পড়ুন: চান্দিনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৯ সদস্য আটক
দেশটির উত্তরের ওই অঞ্চলগুলো মালি এবং নাইজার সীমান্তের কাছে। আর এই সীমান্তে জিহাদি জঙ্গিরা তৎপরতা চালাচ্ছে কয়েক বছর ধরে।
একটি শ্রেণিকক্ষের ব্ল্যাকবোর্ডে দেখা যায়, তারিখ লেখা আছে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮। স্কুলটিতে এরপর আর ক্লাস হয়নি। বুরকিনা ফাসো’র উত্তরে ফোবে শহর থেকে অল্প দূরত্বে এই স্কুলের অবস্থান। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্যামুয়েল সোয়াদোগো জানান, এই এলাকায় একদল অস্ত্রধারীর হামলার কারণে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়। হামলাকারীরা অনেক স্কুল পুড়িয়ে ফেলেছে। শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলার ঘটনার পর স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষক এবং কর্মীরা ভয়ে পালিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, যখন একজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়, তখন কেউ কিছুই করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে।
বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে যে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেছে, এর অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো আর কখনও স্কুলে ফিরে আসবে না, এমনটাই মনে করেন এক শিক্ষক।
এদিকে, জাতিসংঘ বলেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিশুদের স্কুল যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে জঙ্গিরা শিশুদেরকে দলে ভেড়াতে চেষ্টা করবে।
নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে বুরকিনা ফাসো’র সরকার। সূত্রে: সময় টিভি