Site icon দৈনিক আজকের মেঘনা

পত্নীতলায় সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ।

নওগাঁর পত্নীতলায় সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে কথিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পত্নীতলা উপজেলাধীন সারাইডাঙ্গা গ্রামের ভিতরে সরকারি রাস্তার ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ওই গ্রামবাসীর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঘটনা স্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত পহেলা নভেম্বর ওই গ্রামের মোঃ ইলিয়াসের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন গ্রামের ভিতরে সরকারি রাস্তার ধারে থাকা আম গাছ, ছাতন গাছ, খেজুর গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৫ টি গাছ অবৈধ ভাবে কর্তন করে। এসময় সচেতন গ্রামবাসীর বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে গাছ কর্তন অব্যাহত রাখেন কতিথ ফারুক হোসেন। বিষয়টি গ্রামবাসীরা তৎক্ষনাত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কে অবগত করলে ঘটনা স্থল হতে কিছু গাছ জব্দ করে নির্মইল ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। বাঁকি গাছগুলো স্থানীয় বাজরে বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবী করেন গ্রামবাসীরা। একই গ্রামের মৃত গয়েস উদ্দীনের ছেলে আঃ সাত্তার এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও জানান, গত ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসে ও ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সচেতন গ্রামবাসীর পক্ষে আঃ সাত্তার স্বাক্ষরিত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) রাজশাহী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এবিষয়ে ফারুক হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আমার ক্রয়কৃত জমির ২৫ টি গাছ কেটেছি। এসময় ভুলক্রমে সরকারি রাস্তার ৪ টি গাছ কাটা হয়েছিলো, যা ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ে গেছে।
এব্যাপারে নির্মইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি রাস্তার দু’টি ছোট গাছ কর্তন করা হয়েছিলো। যা কোন কাজে লাগবেনা, গাছ দু’টি ইউনিয়ন পরিষদে জামা রাখা হয়েছে। আমার জানামতে আর কোন গাছ কাটা হয়নি। তাছাড়া ওই জায়গা মাপযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ (২৩ ডিসেম্বর) বুধবার বিকেলে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ লিটন সরকারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার জন্য সরকারি নম্বারে কল দিলে তিনি জরুরি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
সরকারি সার্থরক্ষার জন্য বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান সচেতন গ্রামবাসীরা।
FacebookTwitterEmailShare
Exit mobile version