আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ ভারতের মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের ২০ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আটকাতে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
ইন্ডিয়া টুডের বরাতে জিনিউজ জানিয়েছে, সবার পদত্যাগপত্রই গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন কমলনাথ।
কমলনাথ হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘সন্ত্রাসীদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ওদের সফল হতে দেব না।’
ভারতের শীর্ষস্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। কংগ্রেসের বিধায়করা হঠাৎ করে বেপাত্তা হয়ে যান।
এমনকি তারা ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন। মধ্যপ্রদেশের ছয় মন্ত্রীসহ ১৭ বিধায়ককে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে। সবাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ। এর পরই সিন্ধিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এর মধ্যে সোনিয়ার নির্দেশে দিল্লি থেকে বিকালে ভোপালে ফেরেন কমলনাথ। এর পর দলীয় বৈঠকে বিজেপিকে আটকাতে গণপদত্যাগের কৌশল নেয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে পদত্যাগপত্র দেন ২০ মন্ত্রী।
কমলনাথ নতুন করে মন্ত্রিসভা সাজাবেন বলে জানা গেছে। সেই মন্ত্রিসভায় কিছু বিদ্রোহী বিধায়কের জায়গা দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের ছয় মন্ত্রীসহ ১৭ বিধায়ক ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর হোটেলে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ দিল্লি থেকে তিনটি চার্টার বিমানে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপিশাসিত কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে।
প্রথম থেকেই সরু সুতার ওপর ঝুলছে কমলনাথ সরকারের ভাগ্য। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১৬ বিধায়কের সমর্থন। সপা-বসপার বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ বিধায়কের সমর্থন শাসক কংগ্রেসের পক্ষে। বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭।