কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) নবম গ্রেডের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে সাত চাকরিপ্রত্যাশী বিজিডিসিএলসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। কিন্তু বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি পাঠানো হয় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) এবং বাখরাবাদ গ্যাসের এমডি, জিএম (প্রশাসন) বরাবর।
অভিযোগকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, বাখরাবাদ গ্যাসের একাধিক কর্মকর্তা ছাড়াও নিয়োগ কমিটির অনেক সদস্য এবং বিজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চলতি মাসেই এ নিয়োগ দিতে চলছে পাঁয়তারা। আইনি নোটিশের সূত্রমতে, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বাখরাবাদ গ্যাসের জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৮ মার্চ সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) পদসহ বিভিন্ন পদে হয় লিখিত পরীক্ষা। ৮ এপ্রিল এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪৪ জনের রোল নম্বর প্রকাশ হয়।
নোটিশে জানানো হয়, ১২ মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে যে, বাখরাবাদ গ্যাসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে অনেকেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই বাখরাবাদ গ্যাসের নিয়োগে ‘ডিজিটাল জালিয়াতির’ ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িত চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন বাতিল করে ১০ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এদিকে পরীক্ষায় ‘ডিজিটাল জালিয়াতির’ কথা জানতে পেরে ১৬ মে বাখরাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বরাবর এর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিয়োগ স্থগিতের আবেদন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা আবেদনকারীরা হলেন, সফিকুল ইসলাম, এজাজুর রহমান সরকার, অর্নব সূত্রধর, পুষ্পিতা বণিক, রায়হান ফজলে রাব্বী, মাজহারুল ইসলাম ও ইকবাল হুসাইন।