বিআরএসএ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন টুঙ্গিপাড়ার প্রদীপ বিশ্বাস।

ঢাকা বিভাগ গোপালগঞ্জ

বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সাংস্কৃতিক সম্পাদক
পদে বিজয়ী হয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ’ শেখমুজিবুর রগহমানের পবিত্র পূণ্যভ’মি টুঙ্গিপাড়ার কৃতিসন্তান হবিগঞ্জ
জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। গত ৮ অক্টোবর জিয়া-কাওসার-জাহিদ-ইমরুল-বারী
পরিষদ থকে তিনি সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। নির্বাচনে মোট ভোট
৪৮২। কাস্টিং ভোট ৪৬৮। প্রদীপ ব্শ্বিাসের প্রাপ্ত ভোট ৩৩২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবিকুর-অহিদ-রমজান পরিষদের
প্রার্থী স্বপন কুমার দে পেয়েছেন ১৩৩ ভোট। বিআরএসএ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রদীপ বিশ্বাস বিজয়ী হয়ায়
গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর, রাজৈর, মাদারীপুর , হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, নারায়নগঞ্জ,
আগৈলঝাড়া, বরিশাল, বাগেরহাট, ফকিরহাট, বঠিয়াঘাটা, খুলনা দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া গোপালগঞ্জ
জেলা প্রেস ক্লাব, কাশিয়ানী প্রেস ক্লাব, বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষানবীশ আইনজীবী ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক
ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের একজন দক্ষ, মেধাবী ও পরোপকারী কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি সুনাম অর্জনের
পাশাপাশি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ প্রদীপ বিশ্বাসের এ সাফল্যে তার নিজ
এলাকা টুঙ্গিপাড়ায় সর্ব মহলে আনন্দ বইছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার বিশ্বাস জানান,
বিআরএসএ কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রদীপ বিশ্বাসসাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী হওয়ায় টুঙ্গিপাড়ার মানুষ খুবই
আনন্দিত হয়েছে।একজন পরোপকারী ও সজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।তিনি একজন তরুণ
মেধাবী কর্মকর্তা।রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টকে গণমূখিকরণ ও জনগনের হয়রানি রাঘবে তিনি কার্যকর ভ’মিকা রাখবেন বলে
তার প্রত্যাশা। প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (কৃষি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসে
যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন।এর আগে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী
উপজেলায় চাকরিকালীন সময়ে রামদিয়ায় সাব-রেজিস্টি অফিসের বেদখল হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে তিনি
আলোচলায় আছেন। তার এ উদ্যোগ ওইসময় সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। ২৯-তম বিসিএস’র কর্মকর্তা প্রদীপ ব্যক্তি জীবনে
একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।তিনি অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের
পড়ালেখায় সহয়তা দান করে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত রেখে চলছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.